আক্তারুজ্জামান
দৈনিক নওয়াপাড়ায় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধ করে দেয়া টেকা নদী বা মুক্তেশ্বরী নদী খুলে দিল ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ টেকা নদী বা মুক্তেশ্বরী নদী থেকে বাঁশের বাঁধ নদীর মাঝ খান তুলে ফেলেছে। নদীর পানি প্রবাহ আগের মতই স্বাভাবিক হচ্ছে।
নদীর পশ্চিম পাশ দিয়ে যে খাল বা ক্যানেল তৈরি করে তার উপর দিয়ে বেইলি ব্রীজ তৈরি করার কথা ছিল, সেখানে এখান তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা।
ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি, ভবদহবাসির কথা চিন্তা করে নদীর বাঁধ খুলে দিয়েছি। নদীর মাঝ খানে ৩০ফুট জায়গা ফাঁকা রেখে ওখানে নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রেখেছি। ওই ৩০ফুট জায়গার উপর দিয়ে বেইলি ব্রীজ তৈরি করে দেয়া হবে। যদিও টেকা নদী বা মুক্তেশ্বরী নদীর উপর ব্রীজ পুনঃনির্মান করতে কষ্ট হবে। কারণ পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রেখে নদীতে কাজ করা অনেক কষ্টের।
বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা নদী খুলে দেয়ার কারণে এলাকাবাসি দৈনিক নওয়াপাড়ায় সংবাদ প্রকাশ করে যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে এজন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। নদী খুলে দেয়ার বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে ভবদহ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তারাও দৈনিক নওয়াপাড়া কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
এব্যাপারে মণিরামপুরের কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় দৈনিক নওয়াপাড়া কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নদী বন্ধ হয়ে গেলে ভবদহ এলাকার মানুষ ডুবে মরবে বিষয়টি ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে এজন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, নদীর বাঁধ খুলে দেয়ার বিষয় ঠিকাদারের লাইন ম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসির দাবি ও অভিযোগের কারণে এবং ভবদহবাসির কথা চিন্তা করে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। এখন আমরা নদীর মাঝ খানে ৩০ফুট জায়গা প্রশস্ত রেখে নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
এলাকাবাসির অভিযোগ ছিল অভয়নগর-মণিরামপুরের সীমান্তবর্তী টেকা নদী বন্ধ করে টেকা ব্রিজ পূন:নির্মান করার প্রস্তুতি চলছে। ভবদহ এলাকাবাসির অভিযোগ, টেকা নদী বন্ধ করে দিলে ডুবে মরবে ভবদহ উত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাদের দাবি, টেকা নদী নিয়ে ভবদহ অঞ্চলের পানি প্রবাহিত হয়ে ভবদহের ৩৫ গেট দিয়ে বের হয়ে শ্রী নদীতে পড়ে। এখন টেকা ব্রিজ পুন:নির্মান করতে টেকা নদী আটঁকিয়ে দেয়া হয় তাহলে ভবদহ অঞ্চলবাসি ডুবে মরবে।