স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বসতবাড়ী-বাথরুম ভাংচুর বিছালীঘর ও পানবরজ আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে বাদী হয়েছেন ইউনিয়নের বিভাগ্দী গ্রামের মৃত মুন্তাজ শেখের পুত্র আবুুল কালাম (৪৩) এবং বিবাদী করা হয়েছে মৃত বারেক মোল্যার পুত্র মোজাহার মোল্যা (৪০), মোতাহার মোল্যা(৩০), আজাহার মোল্যা (৪৭), মোজাহার মোল্যার ছেলে বাবু(২১), আজাহার মোল্যার ছেলে রিপন (২০)এবং মোজাহার মোল্যার স্ত্রী পারুল বেগমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে।
অভিযোগসুত্রে জানা যায়, ৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বাদী আবুুল কালাম ও তার ভাই সালাম পরিবারসহ ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আনুমানিক ভোর ৬ টায় বিবাদীগণ বাড়ির ভিতরে ঢুকে চেচাঁমেচি বাড়িঘর বাথরুম ভাংচুর, বিছালীঘর-পানবরজ জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং পরিবারের সদস্যরা ঠেকাতে গেলে মারপিট করে এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বসতবাড়ীর টিনের বেড়া ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে, গোসলখানার ইটের গাঁথুনির দেয়াল আংশিক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এক কাঠার মত পানবরজ পুড়ে গেছে এবং বিছালীঘর সম্পুর্ন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এসময় একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩৫ হাজার টাকা এবং বাথরুম ভাংচুরে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাদী আবুল কালাম বলেন, ২০১৫ সালে আমরা দুই ভাই বিবাদীগণের কাছে প্রায় ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করি যার প্রমাণস্বরূপ বিক্রয়চুক্তিনামার স্ট্যাম্প করা রয়েছে এবং কাগজপত্র ঠিক করে দলিল করে দিবে। যার স্বাক্ষী হিসাবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছে।
প্রমাণ থাকা সত্বেও তারা বিভিন্ন সময়ে বিক্রির বিষয়টা অস্বীকার করলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একাধিকবার শালিস হলেও তারা সেগুলো না মেনে কোর্টে মামলা করে। কোর্টও আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে কেসের দিন রয়েছে তাই ওরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেওয়াতে চাই। আজ আমাকে ও আমার ভাই ও ভাবীকে মেরেছে। আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে। আমার ছোট ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। ভয়ে তার জ্বর এসেছে।
এবিষয়ে জানতে বিবাদীগণের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম শামীম হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।