কচুয়া (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
বাগেরহাটের কচুয়ায় ধান ক্ষেত নষ্ট করায় বাঁধা দেওয়ায় লুৎফার রহমান আামানী (৩৮) নামের এক কৃষককে পিটিয়েছেন ছাগলের মালিক ও তার স্বজনরা। বেধরক মারপিটে বাঁ হাত ভাঙ্গাসহ গুরুত্বর জখম হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় কৃষক লুৎফার রহমানকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার স্বজনরা। আহত কৃষক লুৎফার রহমান আমানী বলেন,একই এলাকায় আবুল শেখের বাড়ির পাশে আমার ধানের জমি রয়েছে।
উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আবুল তার পালিত ছাগল ও হাস দিয়ে আমার ধান নষ্ট করে। বারবার নিষেধ করা স্বত্তেও তিনি একই কাজ করে যাচ্ছে।ধান রক্ষায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জমিতে গড়া (জাল) দিতে যাই। হঠাৎ করে আবুল শেখ, আবুলের স্ত্রী চম্পা বেগম, আবুলের ভাই ইউনুস শেখ ও আবুলের শ্যালক মাসুদ শেখ আমার উপর হামলা করে। সবাই মিলে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করে।
আমার বাঁ হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি এই অন্যায় হামলার বিচার চাই। আহত কৃষকের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বলেন,এর আগেও বিভিন্ন সময় আবুল ও তার ভাই আমার স্বামীকে হুমকী-ধামকী দিয়েছেন। ১৯ ডিসেম্বর আমাদের সেচের মটর চুরি করে নিয়েছে আবুল।আমার স্বামীকে মেরেই খ্যান্ত হয়নি তারা, ওই জমিতে আর ধান লাগালে আমার স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দিচ্ছে তারা।
স্থানীয় ইব্রাহিম আমানী,মামুন বাওয়ালী, গিয়াস উদ্দিনসহ কয়েকজন বলেন,আবুল শেখ ও তার ভাই দস্যু প্রকৃতির মানুষ।নিরিহ কৃষক লুৎফার রহমানকে অন্যায়ভাবে মারধর করেছে।এর আগে বিভিন্ন সময় স্বামী পরিত্যক্তা মহিতুন বেগম,নজরুল ব্যাপারী,সাখাওয়াত হাওলাদারসহ স্থানীয় বেশকয়েকজনকে মেরেছে আবুল ও তার ভাই। আবুলের সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে স্থানীয় নিরিহ মানুষরা এভাবে মার খেতে থাকবে। এ বিষয়ে আবুলকে ফোন করা হলে তিনি গনমাধ্যমকর্মী পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।