বিশেষ প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের সদর ও শৈলকুপা উপজেলায় ব্যাপক ভাবে দেখা দিয়েছে গরুর মরণঘাতী সংক্রমক রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’। জেলার ছয়টি উপজেলায় এ রোগ ছড়ালেও ভয়াবহ অবস্থা শৈলকুপা ও সদর উপজেলায়। ইতিমধ্যে মারাও গেছে অনেক গরু। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে খামারি ও কৃষকদের মধ্যে। প্রাণী সম্পদ অফিস বলছে, খামারিদের সচেতন করার পাশাপাশি চলছে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম। শৈলকুপা উপজেলার দোহারো গ্রামের শাহানারা খাতুন। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিনেছিলেন একটি গরু। আশা ছিলো অভাবের সংসারে গরুটি বড় করে বিক্রি করে আনবেন স্বচ্ছলতা। কিন্তু কয়েকদিন আগে গরুর দেখা দেয় ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’। টাকা-পয়সা খরচ করে চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত মারা যায় গরুটি। গরুর মরণঘাতী এই সংক্রমক রোগ দেখা দেওয়ায় আতংকে রয়েছে শৈলকুপা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খামারী ও কৃষকেরা। রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে শৈলকুপা ও সদর উপজেলা জুড়ে। খামারীরা জানায়, প্রথমে গরুর গায়ে জ্বর আসে। ধীরে ধীরে দেখা দেয় পক্সের মত চিহ্ন। কিছুদিন পর সেগুলো ফেটে দিয়ে রক্ত বের হয়। খাবার না খাওয়ায় গরু রুগ্ন হতে শুরু করে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলেও কোন সুফল পাচ্ছে না অনেকে। জেলা বা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকেও পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা মনোজিৎ কুমার সরকার জানান,মশা-মাছির কারণে এই রোগ ছড়াই। আক্রান্ত পশুকে আলাদা স্থানে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে। রোগ যেন না ছড়াই সেজন্য পরামর্শের পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালু রেখেছে তারা।ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ও স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত জেলার ছয়টি উপজেলায় অন্তত ১০ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে অন্তত অর্ধশত। ঝিনাইদহে দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্ক্রীন ডিজিজ, আতংকে খামারী ও কৃষক, সচেতনার পাশাপাশি চলছে ভ্যাকসিনেশন কাজ।
Comment using Facebook