বাগেরহাটে আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি

0
124


বাগেরহাট সংবাদদাতা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপের প্রভাবে গেল তিন দিন নিরবিচ্ছন্ন বৃষ্টি হচ্ছে বাগেরহাটে। সেই সাথে পূর্নিমার জোয়ারে স্বাভাবিকের থেকে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ার ও বৃষ্টির পাতিনে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে কয়েশক মৎস্য ঘের ও পুকুরের মাছ। জোয়ার ও বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। রান্নাও বন্ধ রয়েছে কিছু কিছু পরিবারে। ঘেরে পার ও ক্ষেতে থাকা কিছু সবজির ক্ষতি হলে, বৃষ্টিতে আমন ধানের উপকার হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকার পিচের রাস্তা উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে দেখা যায়। ভৈরব নদীর পানিতে মাঝিডাঙ্গা, পোলঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মাটির রাস্তা ধ্বসে গেছে। এসব এলাকার ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে পানিতে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালি, বহরবুনিয়া, পঞ্চকরণ, নিশানবাড়িয়া জিউধরা, খাউলিয়া, চিংড়াখালি, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের অন্তত দেড় হাজার পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন। এছাড়া মোংলা ও রামপাল উপজেলার নদীতীরবর্তি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। এদিকে, তৃতীয় দিনের মতো জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে সুন্দরবনের বিস্তৃীর্ণ এলাকা ও করমজল বন্য প্রানি প্রজনন কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অঅধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজিজুর রহমান বলেন,গেল দুই দিনে জেলায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জেলার বেশকিছু পরিবার সাময়িকভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করতে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তালিকা তৈরির পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হবে।

Comment using Facebook