সাতক্ষীরায় পানিতে ভেসে গেছে শত শত মৎস্য ঘের : ঝুঁকিপূর্ণ উপকুলের বেড়িবাঁধ

0
93


হাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ
বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরায় তৃতীয় দিনেও ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস। পানিতে ভেসে গেছে শত শত বিঘা মৎস্য ঘের। এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার জরাজীর্ণ ৩৫ টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের সময় বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ভারী বর্ষনের কারনে সহস্রাধিক বিঘা মৎস্যঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া গাবুরা, নাপিতখালি, জেলেখালিসহ কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। ইতিমধ্যে নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের সময় বাঁধের কানায় কানায় পানি উঠছে। আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, তার ইউনিয়নের গদাইপুর এলাকায় সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ৬-৭ হাত জারজীর্ণ বেড়িবাধ ভেঙে যায়। পরে তা স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়েছে। তবে, পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে প্রায় দুই শতাধিক বিঘা মৎস্য ঘের নিমজ্জিত হয়েছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের আওতায় মোট ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাধে মধ্যে ৩৫টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ উপকূল রক্ষা জরাজীর্ণ বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার অনেক জায়গায় চলমান রয়েছে। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বর্তানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত হয়েছে। এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আগামী ২-১ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

Comment using Facebook