বসুন্দিয়া (যশোর) সংবাদদাতা
তুচ্ছ ঘটনায় যশোরের বসুন্দিয়ায় তামিম হোসেন (১২) নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে শিক্ষক। বিষয়টি জানতে চাওয়ায় উল্টো ভুক্তভোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষক হফেজ হুমায়ুন কবীর। গত ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর মোগলবাড়ি সংলগ্ন মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া নূরানী এতিমখানা ও মাদ্রাসায় এই ঘটনায় ঘটে। আহত তামিম হোসেন একই উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের দিলু সরদারের ছেলে। গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার খাবার গ্রহনকে কেন্দ্র করে তামিমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এসময় বাম হাতের কনুই আঙ্গুলে উপরের হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাতœক আঘাত পায় তামিম। এঅবস্থায় তামিমকে মাদ্রাসা থেকে বের হতে দেওয়া হয়না। এক সপ্তাহ পার হলেও আহত তামিমকে কোন প্রকার চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাকে পেটানোর বিষয়ে বাড়িতে কিছু না জানানো হয় সেব্যাপারে বার বার শাসিয়ে দেয় হুজার হুমায়ুন কবীর। গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্যাথায় যন্ত্রনায় তামিম মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে পালিয়ে আসে। ছেলের হাত ফোলা, রক্তে জমাট কালো বর্ণ দেখে মায়ের জোরাজুরির এক পর্যায়ে তামিম তার মায়ের কাছে সত্য ঘটনা খুলে বলে। এরপর আহত তামিমকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্মরত ডাক্তার জানায় তামিমের হাতের একটি হাড় ভেঙ্গে গেছে অপারেশন করতে হবে। এরপর ভাঙ্গা স্থান অপারেশন করা হয় এবং জমে থাকা কালো রক্ত বের করা ফেলা হয়। তামিমের মা ছেলেকে এভাবে মারপিট করে আহত করার বিষয়ে হুজুর হুমায়ুন কবীরকে ফোন করে জানতে চাইলে হুজুর রেগে যান এবং মামলার হুমকি দেয়। এব্যাপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ হুমায়ুন কবীরের ০১৯৬৫৪৩১৮৭১ নম্বরে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বসুন্দিয়ায় ছাত্রকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে শিক্ষক
Comment using Facebook