রূপসা প্রতিনিধ
রূপসায় পূর্ব-রূপসা বাগমারা বাজারের অব্যবস্থাপনার দরুন পথচারী ও যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় সীমাহীন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রূপসা পুরাতন রেলস্টেশন হতে ব্যাংকের মোড় হতে যে রাস্তাটি রয়েছ তার গরুর হাটের সামনের অংশ হতে ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের যে সকল ড্রেন রয়েছ তা অব্যবস্থাপনার দরুন অকেজো হয়ে আছে। সুতরাং সামান্য বৃষ্টি হলেই এই স্থানে পানি জমে যায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ঐ পানি বের হতে পারে না। অতিরিক্ত খড়া হলে জলীয় বাষ্পের মাধ্যমে ঐ জমে থাকা পানি শুকানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন যাবত এই দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকায় যেমন জন্মায় মশা, তেমনি পথচারীদের চলাচলে হয় চরম দুর্ভোগ। এই দূষিত পানি দিয়ে চলাচলের কারণে পথচারীদের পায়ে চুলকানি, ফুসকা সহ চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার ক্রেতা ও জনসাধারণ যাতায়াত করে। অপরদিকে আবার রাস্তার দুইপাশ দিয়ে মূল রাস্তা দখল করে মাছ, মুরগি, মুদি, সবজিসহ বিভিন্ন দোকানদাররা নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যার দরুন চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। তাই বেপরোয়া ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, বড় কোন গাড়ি ও যান চলাচলে যানজট সৃষ্টি হয়ে যায়। এ কারণে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। এ বিষয়ে কথা বলেন পথচারী ওলিয়ার মাস্টার। তিনি বলেন এই রাস্তাটি একটি জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এই বাজারের দোকানদাররা তাদের দোকান থেকে এগিয়ে রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এবং সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে যায়। আর এ জমে থাকা পানি কয়েক দিন ধরে থাকে । এ সকল কারণে আমাদের মত যাত্রীদের চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়। এ বিষয়ে বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কুদ্দুস ঠাকুরের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দীর্ঘদিন আমি অসুস্থ। তাই আমি গ্রামের বাডতি চিকিৎসা নিতে এসেছি। তবে বাজারের ড্রেন পরিস্কার থাকা উচিত। আমি নিজে গত বছর ড্রেন পরিস্কার করেছি। এর বাইরে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
রূপসা বাগমারা বাজারের অব্যবস্থাপনায় চলাচলে বিঘœ
Comment using Facebook