কেশবপুর সংবাদদাতা
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কেশবপুরে এক সংখ্যালঘুর বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুর,মারপিট ও যাতায়াতের পথ বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী অপূর্ব সরকার এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৬ জনের নামে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৈতৃক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে উপজেলার কালিচরনপুর গ্রামের মৃত মুকুন্দ সরকারের ছেলে অপূর্ব সরকারের সাথে প্রতিবেশী পরিবার পরিকল্পনা সহকারী(এফ.ডব্লু.এ) দেবলা বালা সরকারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এমনকি ঐ স্বাস্থকর্মী দেবলা প্রায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে অপূর্ব ও তার পরিবারকে বিভিন্ন কায়দায় হুমকী-ধামকী ও পৈতৃক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভোগ দখলে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছিল। এমনকি সে শত বছরের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছিল। এর জের ধরে গত শুক্রবার সকালে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী দেবলা বালা সরকারের নেতৃত্বে অমর সরকার, শংকর সরকার, সুকান্ত সরকার, সমেশ্বর সরকার ও নিরঞ্জন সরকারসহ বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে অপূর্ব সরকারের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার বাড়ী ঘর ভাংচুর ও মুল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে দেয়। এসময় অপূর্ব (৩৯),তার স্ত্রী পার্বতী (৩০)ও শিশু পুত্র শ্রীধর সরকার(০৬) বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তারা তার ঘরের টিনের বাক্সে থাকা ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বের করে নিয়ে যায় এবং তাদের শত বছরের যাতায়াতের পথ বাঁশের বেড়া ও নেট নিয়ে আটকিয়ে দেয়। যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় গত ২ দিন ধরে অপুর্বের পরিবার অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে। এঘটনায় অপূর্ব সরকার বাদী হয়ে শুক্রবার উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দীন জানান, মারামারি ও রাস্তা আটকানোর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
কেশবপুরে সংখ্যালঘুর বাড়ী ঘর ভাংচুর মারপিট
Comment using Facebook