মোংলা রেল প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চান বন্দর ব্যবহারকারীরা

0
161


এইচ এম দুলাল, মোংলা (বাগেরহাট)
পদ্মা সেতুর পর মোংলা বন্দরের গতি বাড়াতে যোগ হতে চলেছে রেল সংযোগ। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে উদ্ধেধন হওয়ার কথাও রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে মোংলা বন্দরের সাথে ব্যবসা-বাণ্যিজ্যের সম্পৃক্তদের দীর্ঘদিনের দাবির অবসান ঘটবে বলে জানা গেছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্র বলছে, বন্দরের পণ্য আনা নেওয়া করতে সড়ক পথ ও নৌ পথসসহ রেল পথের সংযোগ জরুরি। কিন্তু মোংলা বন্দরের সাথে রেল সংযোগ না থাকায় এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন ব্যবহারকারীরা। তাই সংকট সমাধানে মোংলা বন্দরকে আরও গতিশীল করতে তিন হাজার ৮’শ এক কোটি টাকা ব্যয়ে রেল সংযোগ প্রকল্প গ্রহন করা হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০২০ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ছয় বছরেও শেষ হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর মধ্যে এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকায়। মোংলা বন্দর রেলপথ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ও উপ প্রকল্প পরিচালক আহম্মেদ হোসেন মামুন জানান, অপ্রত্যাশিত পরিবেশের কারণে এই প্রকল্পের ৯৫ ভাগ ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনার কারনেও ব্যয় বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, মোংলা রেল লাইনে ৬৫ কিলোমিটার রেল লাইন, ছোট বড় ৩২টি ব্রিজ ও ১শ’ ৬টি কালভার্টসহ ৮টি ষ্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, এই রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হতে যত বিলম্ব হচ্ছে ততই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক জায়গা তৈরী হওয়ার দরকার ছিল। নৌ পথের পাশাপাশি রেল পথটিকে প্রধান পথ হিসেবে আমরা বেচে নিয়েছিলাম বলেও জানান তিনি। মোংলা বন্দর বার্থ অ্যান্ড শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত জানান, মোংলা থেকে সরাসরি রেল পথটা চালু হয়ে যায় তাহলে ওখান থেকেই ভূটান বা নেপালেরউদ্দেশ্যে পণ্য যেতে পারবে। এক্ষেত্রে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আরও কাজ বেড়ে যাবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের সাথে রেল সেতু সংযোগ এই বন্দরকে যেমন গতিশীল করবে, সেই সাথে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে। রেল সংযোগ চালু হলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, আয়-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে

Comment using Facebook