যশোর অফিস
বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারি সংগঠনগুলোর ডাকা অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটে তৃতীয় দিনের মতো আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
একারনে দু’দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক।
বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস, পণ্য উঠানামা ও শুল্কভবনের সকল কাজকর্মসহ দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার আলোচনায় বসলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর, কাস্টমস, বিএসএফ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বিষয়টি সুরাহা হয়নি। বুধবার আবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান পেট্রাপোল এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে।
ভারতীয় বিএসএফ ও পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পেট্রাপোল এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ নব ট্রাক মালিক সমিতি, বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সীমান্ত পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনসহ ৮টি সংগঠন সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয়। তল্লাশির নামে ‘অত্যাচার’ চালাচ্ছে বিএসএফ। গাড়ি চালক, মালিক এবং ক্লিয়ারিং এজেন্টদের ‘নাজেহাল’ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বন্দর কর্তৃপক্ষও নানা ভাবে ‘জুলুম’ চালাচ্ছেন। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খোকন পাল বলেন, ল্যান্ড পোর্টের নতুন আধিকারিক (ম্যানেজার) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে বন্দর এলাকায় প্রবেশের ওপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে আমাদের বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। তিনি বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন কর্মীদের বন্দরের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হলেও ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ম্যানেজার তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। আমদানি-রপ্তানি কাজে বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশসহ নানা হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারতের পেট্রপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে বুধবার তৃতীয় দিনের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে তারা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। “আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস,পণ্য উঠানামা,শুল্কভবনের কাজকর্ম ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।”