এইচ, এম, দুলাল মোংলা (বাগেরহাট)
মোংলা বন্দরের ইনারবার ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার জন্য বানীশান্তার হুকুম দখলকৃত ৩০০ একর জমির মালিকদেরকে আজ-কালের মধ্যে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদাণ করা শুরু হবে। এর আগে ওই এলাকার জমির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ বুঝে পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। সেই সকল আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ-কালের মধ্যে জমির মালিকদের মাঝে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণের এ টাকা প্রদাণের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যেই মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে হুকুম দখলকৃত ওই জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই হুকুম দখলকৃত জমি বুঝিয়ে দেয়ার পর থেকে একটি মহল সেখানে বালু ফেলার ক্ষেত্রে নানা ধরণের প্রতিবন্ধকার সৃষ্টি করে আসছেন। সেখানকার প্রকৃত জমির মালিকদেরকে ভুল বুঝিয়ে ও উস্কানি দিয়ে বহিরাগত কিছু সুবিধাভোগী লোকজন বালু ফেলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। যারা এ ধরণের ষড়যন্ত্র করছেন তারা কেউই সেখানকার বাসিন্দা কিংবা জমির মালিকও নন। মোংলা বন্দরের উন্নয়ন বিরোধী এ চক্রটি সেখানে গিয়ে জমির মালিকদেরকে দিয়ে নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যেই সেই সেই সকল বহিরাগত চক্র, চক্রের মুল ইন্ধন দাতাদেরকে সনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ওই চিহ্নিত চক্রের বিরুদ্ধে মোংলা বন্দরের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ ও সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে অভিযুুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মুসা বলেন, ইনারবার ড্রেজিংয়ের বালু পশুর নদীর পাড়ের বানীশান্তা এলাকায় ফেলার জন্য গত ৮ জুন খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের ৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরও জমির মালিকদেরকে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা বিতরণ কিংবা হস্তান্তরে এতো বিলম্ব কেন হচ্ছে তা বুঝতে পারছিনা। আমি আশা করবো খুলনা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জমির মালিকদেরকে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দিবেন। জমির মালিকেরাও তাদের জমিতে বালু ফেলতে ও ক্ষতিপূরণ নিতে আগ্রহী। কিন্তু মাঝখানে একটি উন্নয়ন বিরোধী চক্র প্রকৃত জমির মালিক ও বর্গা চাষীদেরকে ভুল বুঝিয়ে সেখানে একটি প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও বলা হয়েছে। সেটি যদিও আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখানে আমার কোন ব্যক্তি স্বার্থ নয়, ড্রেজিংয়ের বিষয়টি মোংলা বন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে জরুরী। ড্রেজিং প্রকল্প বাঁধাগস্থ হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ নিস্বার্থভাবে ও দুরদর্শিতার সাথে বন্দর পরিচালনা করে আসছেন। চলমান এ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি খুলনা জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। কারণ এটি কারো ব্যক্তি স্বার্থে নয়, মোংলা বন্দরের উন্নয়নেরই স্বার্থে।
মোংলার বানীশান্তার জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়া শুরু
Comment using Facebook