তাওহীদ আল উসামা
উপকুলীয় অঞ্চলে নিম্নচাপের প্রভাবে দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে শিল্প বানিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়া। গত কয়েকদিন যাবৎ নওয়াপাড়াসহ উপজেলার সবত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে গতকালের এমন বৈরি আবহাওয়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হয়নি অনেকে। একান্ত প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তাদেরকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। সড়কে যানবাহন কম থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করেছেন ভ্যান-রিক্সাচালকরা। জাবির আব্দুল্লাহ নামে একজন পথচারী বলেন, নুরবাগ থেকে হাসপাতাল গেট পর্যন্ত রিক্সায় আসতে আমার ২০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে কাজ না থাকায় চায়ের দোকানে কিংবা বাড়িতে অলস সময় পার করছে তারা। বন্দরের সকল ঘাটের লোড আনলোড কম থাকায় ঘাট শ্রমিকদের কপালে ছিল চিন্তার ভাঁজ। তারা বলেন, গত ২দিন ধরে বসে আছি ঘাটে কোন কাজকাম নেই। প্রতিদিন ইনকাম করতে না পারলে কিস্তি দিব কি? আর সংসার চালাবো কিভাবে? বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান খুললেও ছিলনা তেমন কোন বেঁচাকেনা। রজিবুল ইসলাম নামে একজন পশু ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, সকালের দিকে কিছুটা বেঁচাকেনা হলেও দুপুরের পরে আর কোন বেঁচাকেনা হয়নি।
এছাড়া গতকাল রোববার নওয়াপাড়ার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে মধ্যে স্কুলে পৌছাতে পারেনি অনেক ছাত্রছাত্রী। রোববার দুপুরে কথা হয় নওয়াপাড়া মডেল কলেজের বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী আসমা খাতুনের সাথে। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গাড়ি না পাওয়ায় ১০ মিনিট দেরিতে স্কুলে ডুকতে হয়েছে। ধোপাদী গ্রামের ভ্যানচালক মাসুদ রানা বলেন, বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হয়েছি পেটের দায়ে কিন্তু রোডে তেমন যাত্রী নেই। ছেলে মেয়ে নিয়ে বিপদের মধ্যে আছি। কোটা গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান বলেন, টানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয়নি সারাদিন।