নড়াইল সংবাদদাতা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও চাল ব্যবসায়ী শাহাবুরকে ভিজিএফ’র চাল আত্নসাতের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুদক’র দায়ের করা মামলায় রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে নড়াইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শেখ মোহা: আমিনুল ইসলামের আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামীরা জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ মামলার অপর আসামী লোহাগড়া উপজেলার সাবেক খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কামরান হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বর্তমানে ঝিনাইদহে কর্মরত রয়েছেন।
চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত নির্বাচনেও নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হন। তার ভোটে বিজয়ী হওয়া নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জণ। জানা গেছে, গত ১৯ মে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মোহা: মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫/২০২২। দায়েরকৃত মামলায় কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মতিয়ার রহমানকে প্রধান আসামী, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কামরান হোসেন ও চাল ব্যবসায়ী শাহাবুরকে আসামী করা হয়।
মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও তার সহযোগী শাহাবুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ২৩ জুলাই জামিনের দিন শেষ হলে আসামীরা নড়াইলের নিম্ন আদালতে হাজিরা দেন। উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরনের জন্য ৪১.৫ মে.টন বরাদ্দকৃত চাল থেকে ৩.৬ মে.টন চাল ব্যবসায়ী শাহাবুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান। ৯ আগষ্ট খাদ্যগুদাম থেকে ওই চাল খালাস করে কালোবাজারে বিক্রির জন্য নড়াইলে নেয়ার পথে নড়াইল-যশোর সড়কের চৌগাছা নামক স্থানের চায়না প্রজেক্টের সামনে থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশ দুই নসিমনে থাকা ১২০ বস্তা চাল জব্দ করেন।