রূপদিয়া (যশোর) সংবাদদাতা ঈদকে সামনে রেখে যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া দাইতলা সড়কের ভৈরব নদীর উপর নির্মিত কচুয়া সেতুটি মানুষের চলাচলের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গত ২২ মে ২২ সালের সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন যশোর-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিলেন কামার জানি ট্রেডার্স ফরিদপুর। মেয়াদকাল ২৩-০৫ ২০১৯ দুই বছর।
কিন্তু করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়ার কারণে এক বছর সময় বেশি লেগেছে কচুয়ার এই সেতুতে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা এর দৈর্ঘ্য ৭২ মিটার প্রস্থ ৩৩ ফুট। সাধারণ মানুষ নতুন সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এর আগে ৩০ টি গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছোট্ট একটি সেতু দিয়ে চলাচল করতে হতো। সেতুটি ভৈরব নদ খনন করার সময় স্বর্য়ক্রীয়ভাবে এ সেতু ভেঙে পড়ে।
ফলে এলাকার লোকজন তাদের কৃষি পণ্য সহ নানা রকম যানবাহন নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে। এমতাবস্থায় এলাকার সাধারণ জনগণের টাকায় বেইলি ব্রিজ ভাড়া করে একটি বিকল্প সেতু নির্মাণ করা হয়। সেটা দিয়েই মানুষ চলাচল করতে থাকে। নতুন সেতু কোনরকম চালু হওয়ার সাথে সাথেই মানুষ এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে।
এ ব্যাপারে এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান দীর্ঘদিন পূর্বের জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছি কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পর সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রচেষ্টায় আমরা কাঙ্ক্ষিত সেতুটি পেয়েছি আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
তবে অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন সুন্দর একটি সেতু হলেও সেতুর দু’পাশে রাস্তার যে কাজ হয়েছে তার সম্পূর্ণ জোড়াতালির মাধ্যমে। ইট বালি দেয়ার পরিবর্তে দেয়া হয়েছে নদীর গাঁদ মাটি যাতে করে রাস্তা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া উত্তর পাশে যারা রাস্তা দখল করে আছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা না হলে সেতুটির পুরোপুরি ফলাফল মানুষ ভোগ করতে পারবে না। এমতাট অবস্থায় যাতে সেতুর দুই পাশ দখল মুক্ত করে রাস্তাটি সুন্দর ও চওড়া করা যায় সেজন্য ঊর্ধ্বতন, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।