চলে গেলেন মনিরামপুরের ফায়ারম্যান গাউসুল

0
397

হাদিউজ্জামান সুমন, নেহালপুর

ছয় মাসের শিশু সিয়াম হোসেন কোনদিন পিতা গাউসুল আজমকে বাবা বলে ডাকতে পারবেন না। বাড়িতে শোকের মাতম চললেও শিশু সিয়াম জানেননা তার পিতা আর নেই। সিয়াম অগ্নিকা-ে নিহত ফায়ারম্যান গাউসুল আজমের একমাত্র ছেলে। গত শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকু-ে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৪টার দিকে শেষ নি:শ^াস ত্যাগ করেন। মণিরামপুরের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগার আলীর একমাত্র ছেলে ফায়ারম্যান গাউসুল আজম। ২০১৮ সালে তার চাকুরীতে যোগদান। বর্তমানে বাগেরহাট মোড়লগঞ্জ থানায় তার পোস্টিং থাকলেও ছয়মাসের জন্য ডেপুটেশনে যান চট্টগ্রামের সীতাকু-ে। ৪ জুন শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকু-ের কনটেইনার ডিপোতে যখন অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে তখন অগ্নি নির্বাপকের জন্য ছুটে যান সেখানে। এসময় কেমিক্যাল বিস্ফোরণে নিজেও অগ্নিদগ্ধ হয়ে দীর্ঘ ৯দিন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ্য করার প্রাণপন চেষ্টা করার পরও বাঁচাতে পারেননি তাকে। অবশেষে গতকাল রোববার সকালে শেষ নি:শ^াস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল বিকেলে ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি এ্যামবুলেন্সে করে তার মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে মণিরামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা জানান, গাওসুলের মরদেহ বাড়িতে পৌছাতে রাত ১০টা বাজতে পারে। এদিকে, গাউসুলকে দাফনের জন্য পারিবারিক কবরস্থানে সকল ব্যবস্থা প্রস্তুত করা হয়েছে। গাউসুলের বাবা আজগার আলী, মা আছিয়া বেগম ও স্ত্রী কাকলী খাতুন গতকাল বাড়িতেই ছিলেন। তবে তাদের বাড়িতে কেবল নিস্তবতা বিরাজ করছে। সকলেই অপেক্ষা করছেন মরদেহ বাড়িতে কখন আসবেন। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ^াস জানান, গাউসুল আজমের জানাযায় অংশ গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, ওসি মণিরামপুর নুর-ই আলম ছিদ্দিকী এবং উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Comment using Facebook