মণিরামপুর সংবাদদাতা
যশোরের মণিরামপুরে কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলাসহ দলের অস্থায়ী কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত: ১০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিএম মিজানুর রহমান ও শফিয়ার রহমানসহ দলের কতিপয় নেতা উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে যায়।
এ সময় থানা বিএনপির আহবায়ক শহীদ ইকবাল হোসেন গ্রুপের সমর্থক যুবদল নেতা জামির হোসেনের নেতৃত্বে একদল যুবক আয়েশা বেগম নামের এক নারী কর্মীর উপর হামলা করে। এ ঘটনার পর মুছা গ্রুপের থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিএম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টি থানা পর্যায়ে গড়ালে সন্ধ্যায় মুছা গ্রুপের সমর্থকরা জামির হোসেন, ইমরান, আরিফুল ইসলামের উপর হামলা করে। এতে যুবদল নেতা জামির হোসেনের পা ভেঙ্গে যাওয়াসহ ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন ও আরিফুল আহত হয়।
আহতদেরকে মণিরামপুর ও সদর হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেমে থেমে পৌর শহরে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ মাঠে রয়েছে। মুছা গ্রুপের মহিবুল আলম মামুন, ইজাজুল ইসলাম, সোহাগ হোসেন, ইব্রাহিম, হোসেন আলী কে পিটিয়ে আহত করে ইকবাল গ্রুপের সমর্থকেরা।
মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, রাত ১১টার দিকে মুছা গ্রুপের কর্মী সমর্থকেরা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়টি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। অবশ্য থানা বিএনপির আহবায়ক দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি দাবী করেন, একদল দূর্বৃত্ত দরজা ভেঙ্গে কার্যালয়ের ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র চুরি করেছে। থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, থানা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শহীদ ইকবাল তার পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শহীদ ইকবাল তার ইচ্ছামত কমিটি করতে বাঁধা দেওয়ায় তার কর্মীদের মুছা-গ্রুপের লোকজনদের উপর হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে।
থানা বিএনপির অপর যুগ্ম আহবায়ক জিএম মিজানুর রহমান বলেন, শহীদ ইকবালের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে তার উপর হামলা করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে থানা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন দাবী করেন, বিএনপি যেখানে কমিটি করতে যাচ্ছে, দলের একটি গ্রুপ বহিরাগতদের নিয়ে সেখানেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।
জেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মাদ মুছা বলেন, ঐক্যের ভিত্তিতে বিএনপির কমিটি করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে থানা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন তার লোকজনদের দিয়ে দলের লোকদের উপর হামলা করে চলেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-ই আলম সিদ্দীকি বলেন, এসব ঘটনায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেননি।