স্টাফ রিপোর্টার
দিঘলিয়া বিল কেদারিয়া ধান ও মৎস্য চাষ প্রকল্প-১ ও ২ দির্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন পার্শ¦বর্তী উপজেলার পাচাকড়ি গ্রামের বাবলু গাজী। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের অভিযোগ প্রতি বছর হারির টাকা আদায় করতে গেলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাধারণ জমির মালিকদের, গত বছরের হারির টাকা অভয়নগর থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছিল। এর মধ্যে বাবলু গাজী এলাকার কিছু অসাধু ব্যাক্তিদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে হাত করে নেয় এবং সাধারণ জমির মালিকদের সম্মতি ছাড়া ডিড আরও এক বছর বাড়িয়ে নেয় কমিটির মাধ্যমে।
এক বছর মেয়াদ শেষ হয় গত ২ মাস আগে। বাবলু গাজীর কাছে হারির টাকা বাবদ পাওনা হয় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। কন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাবলু গাজী কোন টাকা দিতে না পারায়, তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম ফারুখের সুপারিশে মাছ ধরার জন্য সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরেও অতিরিক্ত আরও ২ মাস সময় দেওয়া হয়। এর ভিতর কিস্তিতে টাকা দিতে বলা হয়। কিন্তু বাবলু গাজী এভাবেও টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। চেয়ারম্যান এস এম ফারুখ টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে, সাধারণ জমির মালিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। যার জমি তাকে দখল নিতে বলে দেয় এবং বাবলু গাজীকে মাছ ধরতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু বাবলু গাজী সমস্ত নিষেধ অমান্য করে ওই এলাকার আকবর বিশ্বাস ও অহিদ মোল্যার সহযোগীতায় এখনো মাছ ধরে যাচ্ছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। এমতবস্থায় যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা। এলাকার সাধারণ জমির মালিকদের দাবি কোন রকম ঝামেলা ছাড়া তাদের জমি যেন তাদের দখলে নিতে পারে, এজন্য তারা দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।