আজিজুর রহমান, মণিরামপুর থেকে ফিরে
কেরামের নামে জুয়া খেলতে নিষেধ করায় মনিরামপুরে ফজলু মোড়ল নামে পঞ্চাশউর্ধো এক ব্যক্তিকে সন্ধ্যা রাতে প্রকাশ্যে বাজার থেকে উঠিয়ে নিয়ে কুপিয়েছে জুয়াড়ী চক্ররা। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্ত্রী ও শিশু রাফিন।
ভয়ে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে আহতরা কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর আমতলা গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা ইউনিয়নের চন্ডিপুর আমতলার মুদি দোকান্দার আলা উদ্দীন ও তুহিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে টোল ঘর তৈরি করে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহাল তবিয়তে কেরাম বোডের নামে জুয়ার রমরমা আসর বসিয়ে আসছে। বহিরাগত ও এলাকার উঠতি বয়সী যুবক এমনকি স্কুল-কলেজগামী কোমলমতি ছাত্ররাও এই জুয়ায় আসাক্ত হয়ে বিপদগামীর পথে ধাপিত হচ্ছে। চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আলেক মোড়লের ছেলে ফজলু মোড়ল এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আসছিল। তার কথায় কাজ না হওয়ায় সে সহ এলাকার নিরীহ জনগন ব্যাধ্য হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ৯নং ঝাপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টুকে অবহিত করলে গত কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যান নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান্দার তুহিন ও আলা উদ্দীনকে কেরামের নামে জুয়া খেলতে নিষেধ করে। এই ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধা রাতে আলা উদ্দীন ও তুহিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী স্থানীয় আমতলার মোড় থেকে ফজলু মোড়লকে পাশ্ববর্তি কলাবাগানে নিয়ে ধারালো দা ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ী কোপাতে শুরু করে। ফজলুর ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪০) ও পোতা ছেলে রাফিন (৩) ছুটে গেলে তাদের কেও মারপিট করে আহত করে। মুমুর্ষবস্থায় এলাকাবাসী আহত ফজলু, মর্জিনা ও রাফিনকে উদ্ধার করে ঐ রাতেই কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত ফজলু জানান, দোকান্দার তুহিন ও আলা উদ্দীন এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় দ্বিতীয় বার হামলার ভয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে দোন্দার তুহিন ও আলা উদ্দীনকে কেরামের নামে জুয়া খেলা বন্ধ করে দেন। তবে তিনি ঢাকাতে অবস্থান করায় হামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।