ডুমুরিয়ায় মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে দু’দফায় ধর্ষণ : গ্রেপ্তার-২

0
206

ডুমুরিয়া সংবাদদাতা

ডুমুরিয়ার শোভনার চিংড়া এলাকায় ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী দু’দফায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ছাত্রী ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জন কে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ মামলার ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার এজাহার ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিংড়া গ্রামস্থ হতদরিদ্র এক পিতার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে এবং ডুমুরিয়া সদরের একটি আলীয়া মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনিতে পড়ুয়া ছাত্রী গত রমজান মাসে মাদ্রাসা ছুটি থাকার সুবাদে প্রতিবেশী সিরাজুল গাজীর বাড়িতে গৃহস্থলী কাজে নিয়োজিত হয়।

এমতাবস্থায় গত ২২ রমজান উপজেলার বাগদাড়ি এলাকার গরু ব্যবসায়ী মহিদুল মোড়ল(৪০) এবং আনসার বাহিনী সদস্য কারিমুল শেখ (৪৫) ওই বাড়িতে বেড়াতে যায়। এক পর্যায়ে কাজের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে দেখে তার প্রতি তাদের কুদৃষ্টি পড়ে। এরপর গত ৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন সিরাজুলের স্ত্রী ইরানি বেগম অসৎ উদ্দেশ্যে বেড়ানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বাগদাড়ি এলাকায় তার বাপের বাড়িতে রেখে আসে। ওই রাতে ইরানী বেগমের বাবা কারিমুল শেখ একটি নির্জন ঘরে তার শ্যালক মহিদুল মোড়ল ও ছাত্রীটিকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহির পাশ থেকে ছিটকিনি দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় মহিদুল ছাত্রীটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে রাত অনুমান তিনটার দিকে বাড়ির মালিক কারিমুলও ওই ঘরে প্রবেশ করলে মহিদুল বেরিয়ে আসে এবং কারিমুলও পর্যায়ক্রমে ছাত্রীটি কে ধর্ষণ করে। এরপর গত ২১ মে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবারও মহিদুল মোড়ল ছাত্রীটি কে ভয়ভীতি দেখিয়ে মটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর স্থানীয় জনৈক রাশেদুলের ঘেরের বাসায় নিয়ে অনুরূপ ভাবে ধর্ষণ করে। একই রাত অনুমান দুইটার দিকে ধর্ষণে সহযোগি ইরানি বেগমের স্বামী সিরাজুল গাজী ও ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক মনি গাজী ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ি আনার পথিমধ্যে সাহস এলাকার একটি ইটভাটার নিকটে পৌঁছালে ওই দুই রক্ষক তাকে আবারও ধর্ষণ করে। এরপর ভোর রাতে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানির পর ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে গত ২৮ মে তারিখে ছাত্রী কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসা শেষে সোমবার ভূক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত ৪ জনকে এবং সহযোগীতার জন্যে ইরানী বেগম কে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

এ প্রসঙ্গে ওসি সেখ কনি মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, মামলার দুই আসাীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

Comment using Facebook