এস.এম মামুন শিকদার
খুলনা মহানগরীর অন্যতম উপশহর নেই সেই আগের নির্মল বিশুদ্ধ বাতাস, দিনকে দিন দৌলতপুর বাসীর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, যার অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে দৌলতপুরস্থ খুলনা-যশোর মহাসড়কের সকাল সন্ধ্যা দীর্ঘ যানজট, এ যেন অনেকটা গলারকাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে শান্তি প্রিয় দৌলতপুরবাসীর নিকট।
সংর্কীন সড়ক, অপ্রতুল যানবহন আর একই সড়ক দিয়ে চলাচলরত বিভিন্ন আর্ন্তজেলার সমূহের বাস-ট্রাক সহ মহানগরীর এলাকার হালকা, ভারী ও মাঝারী যানবহন চলাচল এই যানজটের অন্যতম কারণ। একদিকে যেমন চালকরা মরিয়া হয়ে উঠেছে যাত্রী টানার প্রতিযোগীতায়, অন্যদিকে আবার যত্রতত্র পাকিং, যেন ট্রাফিক আইন মানার কোনো প্রবল ইচ্ছা শক্তি নেই কারো ভেতর, সকলেই বেপরোয়া। যে কারণে ক্রমশই যানজট নিরসনের বিপরীতে বরং যানজট বেড়েই চলেছে। এই কারণে দৌলতপুরস্থ খুলনা-যশোর মহাসড়কে যানবহনের যানজটের কারণে দীর্ঘ লাইনে পড়ে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, স্কুল কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রী সহ সর্বস্তরকে। দৌলতপুর মহাসড়ক জুড়ে ছুটে চলা এলোপাথারী মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ইজ্ঞিন চালিত রিক্সা-ভ্যান, হালকা-মাঝারী যানবহনসহ বাস-ট্রাকের লাইনের যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়ে গন্তব্যস্থলে পৌচ্ছাতে সময় লাগছে দীর্ঘক্ষণ। সরেজমিনে, ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিনই সকাল সাড়ে ৯ টার পর অফিস-আদালতগামী, শহর কর্মমুখি মানুষ, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রদের যানবহনে চড়া বসা অপর দিকে সন্ধ্যার পর কর্মজীবি মানুষের ঘরমুখি হওয়ার কারণেই এই দীর্ঘ যানজট।
বাসস্ট্যান্ড মোড় হতে শুরু করে মুহসীন মোড় সম্মুখ পর্যন্ত এ সকল যানবহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। যানজট নিরসনে যেন হাঁপিয়ে উঠছে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাবৃন্দ। মহাসড়কে চলাচলরত ক্ষুদ্র বা মাঝারী যানবহন তথা মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ইঞ্জিনের রিক্সা-ভ্যান, দূরপাল্লার বাস গুলোর যাত্রী ওঠা নামানোর প্রতিযোগীতা, অনুমোদিত পার্কিংয়ের কারণেই মূলত এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন সুধী মহল। স্কুল ছাত্রী শারমিন আক্তার মীম জানান, দৌলতপুর ট্রাফিক মোড় হতে মুহসীন মোড় হেটে যেতে সময় লাগে ৫/৭মিনিট, যা বর্তমানে গাড়ীতে যেতে লাগছে পনের মিনিটের বেশি। সাবেক কাউন্সিলর এসএম হুমায়ুন কবির জানান, ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারনেই মুলত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি অনুমোদনের তুলনায় অনুমোদনহীন যানবহনের সংখ্যা শহরে বেড়ে গেছে, তাছাড়া আমাদের চলাচলা রাস্তাও সংকীর্ন। কাজেই যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনা গ্রহন করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
কেএমপি’ ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর সহ শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক সম্মুখে ট্রাফিক সদস্য বহল রাখা হয়েছে। যাদের যানজট নিরসনে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। যানজট নিরসনে যে কোনো ধরনের প্রদক্ষেপ গ্রহন করবে ট্রাফিক বিভাগ।