মণিরামপুর সংবাদদাতা
মণিরামপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি উঠেছে প্রতিবেশী দাদা আলাল বিশ্বাস (৫২) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আলাল বিশ্বাস উপজেলার গোপীকান্তপুর গ্রামের মৃত পাচু বিশ্বাসের ছেলে। নির্যাতনের শিকার শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ধর্ষকের ভাইপো স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক অলিয়ার রহমান গোপনে কেশবপুরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে ভিকটিমকে চিকিৎসা করান বলে জানা গেছে।
অলিয়ার ঘটনাটি ধামা দিতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার উপজেলার গোপিকান্তপুর ঘটনাটি ঘটে। চিকিৎসা নিয়ে গ্রামে ফেরার পর ধামাচাপা দিতে একাধিক বৈঠক হওয়ায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কয়েকদফা বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর পরিবারকে থানা পুলিশ না করতে টাকার লোভসহ ভয়ভীতি দেয়া হচ্ছে। সরেজমিন ভিকটিমের বাড়িতে গেলে প্রতিবেশি একাধিক নারী-পুরষ ভীড় জমান। এসময় অনেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত আলাল ও ভিকটিমের পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় ভিকটিম পরিবারকে চাপ দেয়া হচ্ছে।
এসময় ভিকটিম জানায়, দাদা তাকে ডেকে নিয়ে পাশ্ববর্তি বাগানে নিয়ে যায়। এসময় তার সাথে খারাপ আচারন করে। এতে অসুস্থ্য হলে চাচা (অলিয়ার) তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ভিকটিমের মা’সহ অনেকেই বলেন, এ ঘটনার সঠিক বিচার চান।
অভিযুক্তের ভাইপো অলিয়ার বলেন, তিনি ভিকটিমকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে, পাশাপাশি বসবাস হওয়ায় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মণিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।