এস এম মামুন শিকদার, দৌলতপুর (খুলনা)
খুলনা নগরীর দৌলতপুরে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। ঈদ কে সামনে রেখে দৌলতপুরের বাজার ঘাট দোকান পাট ও মার্কেট গুলোতে কেনা কাটা করতে আসা মানুষের চাপ, অপ্রশস্ত রাস্তা, ওভার ব্রীজ না থাকা, ঈদে নানামুখি পরিবহনের বাড়তি চাপ থাকার কারনে এই যানজট দেখা দিয়েছে। দৌলতপুরে ট্রাফিক মোড়টা চার রাস্তার এক সংযোগ স্থল।
মোড়ের উত্তর দিক থেকে আসা ঢাকা-যশোর মহাসড়ক এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দূর পাল্লার পরিবহনগুলো খুলনা মুখে প্রবেশ করে। দক্ষিণ দিক আসা রাস্তাটা খুলনা-ডাকবাংলা-সোনাডাঙ্গা মহাসড়ক। এই সড়কে খুলনার মহানগরীতে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করে ও দুরপাল্লার পরিবহনগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে যায়।
পূর্ব দিক থেকে আসা সড়কটি সরকারি ব্রজলাল কলেজ (বিএল কলেজ) ও শিল্প নগরী খালিশপুরের সংযোগ সড়ক এই সড়ক দিয়ে বিএল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের পরিবহন ও খালিশপুর থেকে আগত রিকসা ভ্যান, ইজিবাইক, ট্রাক, হালকা ও মাঝারি ধরনের সব শ্রেণির পরিবহন চলাচল করে।
এছাড়া দৌলতপুর ভৈরব তীরে ও বিএল কলেজের সিমানা ঘিরে গড়ে ওঠা ইট বালুর ব্যাবসায় যুক্ত ট্রাক, পিকাপ ও সাধারন মানুষের চলাচল এবং পশ্চিম দিক থেকে আসা রাস্তাটি দেয়ানা, পাবলা সংযোগ সড়ক এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে।
এছাড়া রিকসা, ভ্যান, পিকাপ, অটোরিকসা ও ইজিবাইক সহ ছোট ও মাঝারি আকারের গাড়ি চলাচল করে যার কারনে প্রতিনিয়ত এই ট্রাফিক মোড়ে যানজট লেগেই থাকে। এই জন্য নানা রকম দূর্ঘটনা সহ রাস্তা পারাপারে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েসহ জনসাধারণ সব সময় ভোগান্তির শিকার হয়। এই বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দৌলতপুরে ট্রাফিক মোড়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট সারা বছর জুরে লেগেই থাকে। এই মোড়েই দৌলতপুর খুলনা থ্রী হুইলার সিএনজি ও মাহেন্দ্রা ইউনিয়ন অফিস হওয়ায় ও ইউনিয়নের সামনেই রাস্তার অনেকটা জায়গা জুড়ে তারা সিএনজি, মাহেন্দ্রা রাখে ও যাত্রী উঠানামা করায় অপর দিক থেকে. খুলনা-ডাকবাংলা থেকে ছেড়ে আসা দৌলতপুর ও ফুলতলার যাত্রী নিয়ে তারা এই ট্রাফিক মোড়ে আকাঙ্খা টাওয়ারের সামনে যাত্রী উঠা নামার কাজ করে তাছাড়া প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়ছে পরিবহন বাড়ছে।
রাস্তার উপর সিএনজি ও মাহেদ্রা দাঁড় করিয়ে থ্রী-হুইলার ইউনিয়ন ও সমিতির চাঁদা আদায় করা হয়। যার কারনে এই মোড়ে যানজট সব সময় লেগে থাকে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এই যানজট নিরসনের জন্য কে.এমপির ট্রাফিক অফিসারদের সাথে একাধিক বার কথা বলেছেন এবং বিষয়টি মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন সভা সেমিনারে নজরে আনার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই ট্রাফিক মোড়ে ও দৌলতপুর বাজারের মোড়ে দুইটা পায়ে হাটার ওভার ব্রীজ এষ্টিমেট করা আছে এবং পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে এটা একসেপ্টও হয়েছে অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে। তাছাড়া কিছু দিন আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ডাকবাংলা থেকে আফিল গেট পর্যন্ত খুলনা-যশোর রোডের চার লেনের জরিপ ও সার্ভেয়ারের কাজ শেষ করেছে। খুব দ্রুত টেন্ডার আহবান করে কাজ শুরু করবে। এই চার লেনের রাস্তা হলে ও পায়ে হাটার ওভার ব্রীজ দুটো হলে এখানে যানজট কিছু কম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।