রমজানে ইচ্ছাকৃত গোসল ফরজ করার বিধান

0
166

ধর্ম ও জীবন

নিজ স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন ভাবে বীর্যপাত করা হারাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : “(মুমিন তারা) যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত।

এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। এদের ছাড়া অন্য কিছু কামনা করলে তারা সীমা লঙ্ঘন কারী হবে।” সূরা আল- মুমেনুন : ৫-৬। আর এ ধরনের কাজে শরীরেরও ক্ষতি। রমজানের দিনের বেলা কোন সাওম পালনকারী যদি এ ধরনের কাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে করে ফেলে তাহলে সে গুনাহগার হবে। তার ঐ দিনের সাওম কাজা করতে হবে।

কারণ বীর্যপাত করা সহবাসের মতই। বুখারীতে এসেছে আয়েশা (রা:) বলেনে : “আল্লাহর রাসূল সাল¬ল¬হু আলাইহি ওয়াসাল¬ম সাওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমো দিতেন।

কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে সামর্থ্য ছিলেন।” একথার দ্বারা বুঝে আসে যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না রমজানের দিনের বেলা সাওম অবস্থায় তার চুমো দেয়া জায়েয নেই। চুমো দিতে যেয়ে কামাবেগে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে সাওম নষ্ট হয়ে যাবে। তবে কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। কাজা আদায় ও তওবা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত : যার উপর সাওমের কাজা ওয়াজিব সে পরবর্তী রমজান আসার আগে যদি কাজা আদায় না করে তবে তার এ অলসতার জন্য তওবা ইস্তিগফার করতে হবে, কাজা আদায় করতে হবে ও প্রতিটি সাওমের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করতে হবে। সাহাবায়ে কেরামের এক জামাত এ ফতওয়া দিয়েছেন। একটি সাওমের কাফ্ফারা হল অর্ধ সা খাদ্য যা বর্তমানে প্রায় এক কেজি পাঁচশো গ্রাম পরিমাণ হয়ে থাকে।

Comment using Facebook