যশোর অফিস
গতকাল সোমবার যশোরের চাঁচড়া এলাকায় এক বাস চালকের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় বাসের কাঁচ ভাংচুর করা হয়।
এ ঘটনায় শ্রমিকরা চাঁচড়া মোড়ে বাস আড় করে ব্যারিকেড দিয়ে বেনাপোল-সাতক্ষীরা সড়কে যানবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন বাস যাত্রীরা। পরে পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্থানীয়রা জানায়, চাঁচড়া এলাকায় সকাল নয়টার পর বেনাপোল থেকে একটি বাস এসে থামে।
এসময় বাসের সামনে থাকা একটি ইজিবাইক চালকের সাথে বাসের চালকের মধ্যে দ্বন্দ হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইজিবাইক চালক আশিককে বকাঝকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। সেই দ্বন্দের জেরে আশিকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী টার্মিনালে যেয়ে ওই বাসচালককে খুঁজতে। সেখানে না পেয়ে ফের তারা চাঁচড়ায় আসে। দুপুর দেড়টার পর ওই বাস চালক বাবুলকে পেয়ে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায় বাসের সামনের কাচে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাসের সামনের কাজ ভেঙ্গে যায়। পরে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন এগিয়ে গেলে আসিকসহ সন্ত্রাসীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। চালককে মারপিটের জের ধরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা চাঁচড়া মোড়ে বাস আড় করে সড়ক প্রায় এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা আসিকসহ সহযোগীদের আটকের দাবি জানান। অভিযুক্ত ইজিবাইক চালক আশিকের মায়ের দাবি, আশিককে মারপিট করা হয়। এখন উল্টো তার ছেলের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। এ বিষয়ে যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ বিশু দাবি করেন, চাঁচড়া মোড়ে বাস আসলেই ইজিবাইক ঘিরে ধরে। যাত্রী নামার সুযোগও দেয়া হয় না।
বিষয়টির প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের দাবি জানান।
এ বিষয়ে চাঁচড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে সড়ক থেকে গাড়ি সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।