যশোর অফিস
স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে দাম্পত্য কলহের জের ধরে যশোর শহরের ষষ্টিতলা পাড়ায় এক বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও যুবককে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার যুবকের অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাতে দরজা ভেঙে তাদের বাড়িতে ঢুকে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এদিকে মারপিটের শিকার যুবক ইয়াসিন আরাফাত শোভন প্রাণ বাঁচাতে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ উল্টো থানায় এনে তালাক নোটিশ প্রাপ্ত স্ত্রী’র করা যৌতুক মামলায় আটক করে। শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় তাকে আদালতে পাঠায়। একই সময়ে দেওয়া শোভনের এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ।
শোভন ষষ্টিতলা পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। শোভনের স্ত্রী তহমিনা খাতুন সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। ইয়াসিন আরাফাত শোভন অভিযোগ করেন, অবাধ্য চলাফেরার কারণে গত ১৮ এপ্রিল তিনি স্ত্রীকে তালাক দেন। বৃহস্পতিবার ওই তালাকনামা হাতে পাবার পর ওই রাতেই একদল লোক তার স্ত্রী তহমিনাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে এবং তহমিনাকে ওই বাড়িতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে শোভন ও তার বাবাকে মারপিট চালায়। এসময় শোভন ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় আনে। থানায় গিয়ে শোভন হামলাকারিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে মামলাটি রেকর্ড হয়নি। শোভনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বোরহান সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ শোভনের মামলা রেকর্ড না করে একই সময়ে তার তালঅকপ্রাপ্ত স্ত্রী’র দেয়া এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে শোভনকে ওই মামলায় আটক করে। শুক্রবার বিকেলে এ মামলায় তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ষষ্টিতলার বাড়িতে অঘটনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিৎ পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ দু’পক্ষের অভিযোগই হাতে পেয়েছে। শোভনের অভিযেগটিও তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারেও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। আর তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী’র অভিযোগটি যৌতুক আইনে হওয়ায় শোভনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে শোভনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তহমিনা দাবি করেন, বৃহস্পতিবার তালাকনামা পেয়ে আমি রাতে বাসায় এসে ঢুকতে চাইলে তারা ঢুকতে দেয়নি। এসময় অন্য লোকজন দরজা খুলে দিয়েছে। এর বাইরে আর কোন ঘটনা ঘটেনি।