বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর
এলাকাবাসীর নানা শংকা ও বাধা সত্বেও ভৈরব খননের নামে কাজীপাড়া তেঁতুলতলা অংশে মাটি বালু উত্তোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে অসাধু চক্র। স্থানীয় বাড়ি মালিকরা পাউবোকে জানানোর পরও ঠিকাদারির নামে বালি মাটি বিকিকিনি চক্র ড্রেজার মেশিন অপসারণ না করে উল্টো তাদের পাইপ লাইন লম্বা করছে।
দ্রুত এর প্রতিকার দাবি করে ভূমি মন্ত্রণালয়, যশোরের জেলা প্রশানসক ও পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে ঘোপ ও আজিজসিটি এলাকার বাড়ি মালিকদের পক্ষে। তাদের দাবি ড্রেজার মেশিনে বালি উত্তোলন বন্ধ না হলে ভূমি ধ্বসে তাদের বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে যেতে পারে। গত বছর বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে যশোর শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ভৈরব নদের অদুরে থাকা পুকুরগুলো একেএকে ভরাট করা হয়। সুবিধাবাদী মহল ভৈরব নদ খননে ব্যবহার হওয়া ডেজ্রার মেশিন ব্যবহার করেছেন। গত বছরের বিভিন্ন সময়ে ভৈরবের বুকে ডেজ্রার চালিয়ে বালি ওঠনোই ভূমি ধ্বসেরও শংকা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ।
বালি উত্তোলনের কারণেই গত বছরের ৫ জুলাই ও ৬ জুলাই ঘোষপাড়ার বাড়িঘর ভেঙে নদে পড়ে যায়। ওই বছর জুড়ে ঠিকাদার নিযুক্ত লোকজন ও কয়েকটি দালাল চক্রের লোকজনের মধ্যস্থতায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হয়। ভৈরব নদে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘ পাইপ লাগিয়ে বালি কাঁদা মাটি তুলে পুকুরগুলো ভরাট করা হয়। আর ওই ভরাট কার্যক্রম করতে গিয়ে পাশের গ্রামগুলোর বাড়ি ঘরের তলদেশ মাটি বালি শূণ্য হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। এর মধ্যে ভয়াল থাবা পড়ে পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ায়। ভেঙে পড় ৫০টি ঘর। ওই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিশাল ড্রেজার মেশিন বসানো হয় কাজীপাড়া তেতুলতলা অংশে। জড়ো করা হয় শ’ খানেক বড় পাইপ। অভিযোগ আসে উদ্দেশ্য ভরাট কার্যক্রম। আর নেপথ্যে কাড়ি কাড়ি টাকার হাতবদল। ওই অংশে বালু মাটি উত্তোলন করা হলে তেঁতুল তলা ও ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাড়ি ঘর ভূমি ধ্বসের আওতায় পড়তে পারে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন। ড্রেজার মেশিন সাথে যুক্ত পাইপ লাইন আরো দীর্ঘ করেছে। একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে তারা টাকাও গ্রহন করেছে। দু এক দিনে মধ্যে তারা বিশাল এই অপ কর্মযজ্ঞ শুরু করতে যাচ্ছে। এ ঘটনা ও ব্যাপক প্রস্তুতিতে শংকিত হয়ে পড়েছেন ওই অংশের দুই পাড়ের বাড়ি মালিক গন। তারা মেশিন অপসারণ দাবি করে ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের দায়িত্বশীল সব দপ্তরে অভিযাগ করেছেন।
বিশেষ করে আজিজ সিটি ও ঘোপ নওয়াপাড়া রোডবাসীর পক্ষে দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে এর আগেও ওই অংশে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছিল এবং সেখানে গভীর তলদেশ ও গর্তে সৃষ্টি আগে থেকেই আছে। আবার নতুন করে বড় ড্রেজার মেশিন বসানো এবং পাইপ লাইন লম্বা করায় শংকা বাড়ছ্।ে গত বছ জুলাইয়ে ৫০টি মত বাড়ি ঘর ধ্বসে পড়ায় তাদের শংকার বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও দাবি তাদের। ওই চক্রটি চুক্তি করে শহরের বিভিন্ন অংশে পাইপ দিয়ে বালি সরবরাহ করছে। যে কারণে হুমকি পড়ছে পরিবেশ।
এছাড়া ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চুক্তি করে করে শহরে নিচু জায়গা ভরাট অব্যাহত রাখলে কাজীপাড়ার তেঁতুলতলা অংশ, আজিজ সিটি ও ঘোপ নওয়াপাড়া রোড অংশের বাড়ি ঘর ঝুঁকিতে পড়বে। নদের পাড় ভেঙে বড় ক্ষতির শংকা রয়েছে।