আজিজুর রহমান, কেশবপুর
কেশবপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ধান ক্ষেতে আগাছা নাশক স্প্রে করে এক কৃষকের ২৮ শতক জমির পাকা ধান পুড়িয়ে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষক ইসহাক আলী বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,পার্শ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের মৃত বজর আলীর ছেলে কৃষক ইসহাক আলীর কেশবপুরের কড়িয়াখালি গ্রামে পৈত্রিক ২৮.৫ শতক জমি রয়েছে।ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে বর্গা চাষ করত উপজেলার কোমরপোল গ্রামের মৃত মোজের আলী খার ছেলে মোবারেক আলী খা।
জমির মালিক ইসহাক আলী তার জমি চলতি বোরো মৌসুমে মোবারেক আলী খার কাছে বর্গ না দিয়ে নিজেই ব্রি-ধান- ৬৩ জাতের ধান রোপণ করেন।সকল পরিচর্যা শেষে ধান পেকে যাওয়ার মুহূর্তে গত ১৫ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বর্গা চাষী মোবারেক আলী খা ইসহাক আলীর পাকা ধান ক্ষেতে আগাছানাশক স্প্রে করে দেয়। দুই দিনেই ক্ষেতের সমস্ত ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।কৃষক ইসহাক আলী অভিযোগ করে বলেন,জমিতে ধান রোপণের আগে মোবারেক খা তার কাছে স্বল্প মূল্যে ওই জমি কেনার প্রস্তাব দেয়। তাতে তিনি রাজি না হয়ে ধান রোপণ করেন।এরপর থেকে সে ওই ক্ষেতে কিভাবে ফসল হয় তা দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।একারণেই সে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ধান ক্ষেতে আগাছা নাশক স্প্রে করে ২৫ হাজার টাকার ধান পুড়িয়ে দিয়েছে।ধান পোড়ানোর এ দৃশ্য দেখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এব্যাপারে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু বলেন,আগাছা নাশক স্প্রে করে পাকা ধান পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে ওই কৃষক আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিতে বলেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ১৭ এপ্রিল ক্ষেতের নষ্ট হওয়া ধান নিয়ে ওই কৃষক তার দপ্তরে এসেছিল। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।