আনিছুর রহমান, বাগেরহাট
বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক এর একমাত্র ভবনে একাধিক স্থানে ফাটল ও প্লাষ্টার খসে খসে পড়ায় ভবনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরুহ ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে।
একতলা বিশিষ্ট এ ভবনের দেওয়াল ও লিংটনের একাধিক জায়গায় ফাটল এবং উপরের ছাদের অধিকাংশ স্থানে প্লাষ্টার খসে খসে পড়ায় সেখানে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্বব হয়ে পড়েছে।
অতিদ্রুত ভবনটি পূনঃ মেরামত বা সংস্কার করা না হলে ভবনের প্লাষ্টার খসে বা দেওয়াল ও লিংটন ভেঙ্গে ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে। জানা গেছে, বর্তমান সরকার ১৯৯৬সালে ক্ষমতা গ্রহন করার পর অসহায় ও গরীব মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে ১৯৯৮সালে সারাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেন। সেই হতে তৃনমূলের বিশেষ করে শিশু ও মায়েরা এই সমস্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন। সেই ১৯৯৮সালে হাকিমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি চালু করা হয়। তখন থেকে এই একতলা ভবনে স্বাস্থ্যসেবার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিদিন এই ক্লিনিকে গড়ে প্রায় ৪০জন মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। কিন্তু একমাত্র ভবনের বেহাল দশায় রুগীরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন না।
ভবনের ছাদের প্লাষ্টা খসে খসে পড়া, লিংটন ও দেওয়ালে ফাটল ছাড়াও দরজা-জালানা ও মুল গেটে মরিচা পড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করতে আসা হালিমা বেগম, মুক্তামনি বেগম ও মারুফা বেগমসহ একাধিক মহিলারা জানান, ছাদের প্লাষ্টার খসে পড়া এবং ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরায় তারা ভয়ে ভিতরে যেতে সাহস পায়না। তাই বাহিরে দাড়িয়ে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করেন।
ভবনের নানান সমস্যার বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের সি.এইচ.ই.পি স্মৃতি রানী দাশ এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, জরাজীর্ণ ও প্লাষ্টার খসে খসে পড়ার বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।