যশোর অফিস
যশোর নতুন উপশহরে বীর মুক্তিযোদ্ধা অনানারী ক্যাপ্টেন আব্দুল হাই মোল্লার বসত বাড়ি সন্ত্রাসীরা দখল করে নিয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসীরা বাড়ির জানালা দরজা পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় আব্দুল হাই মোল্লার মেয়ে তাহা মারিয়াম যশোর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। এর আগে বাড়ি রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর ও কোতয়ালি থানায়ও অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোন সমাধান হয়নি। বরং কোতয়ালি থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ বাড়ি দখলের ঘটনাটি জেনেও নীরব ভূমিকা পালন করে। সন্ত্রাসীরা এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য উল্টো প্রাননাশসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহনের পর ১৯৯৬ সালে ১৮ আগস্ট পুলিশে কর্মরত হাবিলদার এস এম আবুল ফজলের কাছ থেকে অবসরের টাকা দিয়ে যশোর হাউজিং এস্টেটের আওতাধীন ই- ১৩৮ নং বাড়িটি ক্রয় করেন। দীর্ঘ ২০ বছর ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। ২ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে বাড়ির দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি দিয়ে সমুদয় অর্থ নিয়ে বিক্রেতা আত্মগোপন করে। এরপর বাড়ির মালিক আবুল ফজকে না পাওয়ায় বাড়িটি আর রেজিষ্ট্রি করা হয় না।
এ মতাবস্থায় ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এস আই রহিম জনৈক নুরুন্নাহার বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে ই- ১৩৮ নং বাড়ি এসে বাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত কাগজপত্রের ফটো কপি নিয়ে যায়। জনৈক নুরুন্নাহার ২০১৫ সালে আবুল ফজলের কাছ থেকে বাড়িটি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। এব্যাপারে আবুল ফজলের মেয়ে মারিয়াম প্রশাসনসহ মুক্তিযোদ্ধ নেতৃবৃন্দের সাহায্য কামনা করেছেন।