যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস, এই দিনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিনে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন করা হয়। সেই সরকারের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। সেইজন্য ১৭ এপ্রিল জাতির কাছে ঐতিহাসিক দিন।
এ সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ট সহচর সৈয়দ তাজউদ্দিন। উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হলে তাজউদ্দিন ও নজরুল ইসলামরা বঙ্গবন্ধু’র আর্দশ মেনে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। ১৭ এপ্রিলের পর দেশের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। তাই দিনটি এত গুরুত্বপূর্ণ।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার এমপি বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠন না হলে দেশ স্বাধীন হতো না। তাদের প্রচেষ্টায় দেশের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। আর এমন দিনে সিনিয়র নেতারা এই আয়োজনে আসেনি। এমন নেতা না নিয়ে ছাত্রলীগ যুবলীগ দিয়ে দল চালানো ভালো। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। সঞ্চালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এসএম নিয়ামত উল্লাহ ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাজাদ জাহান দিহান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর হাসান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম আশিফুদ্দৌলা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাসার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাদারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা মিলিসহ ছাত্রলীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।