যশোর-চুকনগর মহাসড়কের দুই পাশে মরা গাছ: ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

0
181

আজিজুর রহমান, কেশবপুর

যশোর-চুকনগর সড়কে মরা গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ সড়ক প্রশস্তকরণ করার সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতেই সড়কের ভেতর বড় বড় গাছ রেখেই কাজ চলমান রাখা হয়। এখন ওই গাছের অধিকাংশই মরে যাচ্ছে। সামান্য বাতাসেও মরা গাছের ছোট ছোট ডালপালা ভেঙ্গে পড়ছে।

এভাবে দীর্ঘদিন থাকলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকা করছেন পথচারীরা। সড়কের গাছ অপসারণ না করায় নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের রাজারহাট থেকে চুকনগর পর্যন্ত এ সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার।

সড়কটি যশোর সদরের রাজারহাট থেকে জেলার মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা হয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের চুকনগরে গিয়ে মিশেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে ট্রাক, ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন ও অন্যান্য শত শত যানবাহন এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে।

জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে এর উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। এ কাজের শেষ সময়সীমা ছিল গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ স¤পন্ন করতে না পারায় ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতেই গাছ রেখেই সড়কের কাজ চলমান রাখা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সড়কের মধ্যে বড় বড় মেহগনি গাছ রেখেই সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে। গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত মাটি পড়ায় গাছ মরে যাচ্ছে। ওই মরা গাছ এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য বাতাসেও মরা গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ছে। উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় মরা গাছের জন্য ভয় লাগে। তাছাড়া সড়কের মধ্যে গাছ থাকায় রাতে চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।কেশবপুর উপজেলা নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, দ্রুত সড়ক থেকে মরা গাছ অপসারণ না করলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মেহগনি গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত মাটি থাকার কারণে মারা যেতে পারে। মরা গাছ শুকিয়ে গেলে কাঠের মূল্য কম হয়ে যায়।সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যশোর-চুকনগর সড়কটি ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত করা হচ্ছে। সড়কের মধ্যে থাকা ওই গাছগুলি জেলা পরিষদের। সড়ক থেকে গাছ অপসারণের জন্য জেলা পরিষদ চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে কিছু গাছ অপরসারণ করা হয়েছে।

যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ-উজ-জামান বলেন, সড়কের ওই গাছ বিক্রির জন্য অনুমোদন পেতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে সড়কের ওই গাছ পরিদর্শন করেছেন। অনুমোদন পেলেই দ্রুত সড়কের ওই সমস্ত গাছ অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Comment using Facebook