দেবহাটা(সাতক্ষীরা)সংবাদদাতা
দেবহাটায় গ্রামীন সড়ক নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কোন নামমাত্র কাজ করার প্রতিবাদ জানালেও কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন ঠিকাদারের লোকজন। আর তাই ভূক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচপোতা টেওরপাড়া তেতুলতলা মোড় হতে রত্নে স্বরপুরগামী প্রায় ১ কিলো মিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মানের কাজ চলছে। আর এ কাজে উঠে এসেছে ব্যাপক অনিয়ম আর স্বজনপ্রীতি।
বিশেষ করে সড়কের বেড় নির্মানে বেশি অনিয়ম দেখা গেছে। পাঁচপোতা গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে কবির হোসেন উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের সুপারভাইজার হওয়া রাস্তার জায়গা দখল করে রান্নাঘর, টয়লেট ও টিউওয়েল স্থাপন করেছেন। যার ফলে রাস্তা নির্মানে ব্যাঘাত হচ্ছে। আর এই সুযোগে ঠিকদার অপর পাশের রেকার্ডিয় জমিতে রাস্তা তৈরী করছেন।
এছাড়া একই এলাকার অদুদ আলীর বাড়ির অরক্ষিত টয়লেটের রিং রাস্তার জায়গা দখল করে আছে। ঐ অরক্ষিত টয়লেটের নোংরা মলমুত্র রাস্তার পরিবেশ নষ্ট করছে। এই অরক্ষিত রিংটি রক্ষা করে ঠিকাদার ইটের এজিং (রাস্তার ধার) সাপের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যা স্থানীয়দের কাছে খুবই আপত্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ টাকিঘাট থেকে আসা সড়কটির দুপাশে সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়ায় রাস্তা নির্মান করতে যেয়ে সরকারি জায়গা ছেড়ে রেকোর্ডিয় জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে।
অনেকে তাদের রেকোর্ডিয় জমিতে ঠিকাদারকর্তৃক জোরপূর্বক রাস্তা নির্মান করায় উপায় না পেয়ে আদালতের দারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন। স্থানীয় ভূক্তভোগী আবু বকর সিদ্দিক জানান, রাস্তা নির্মান হচ্ছে এটি এলাকার উন্নয়ন বয়ে আনবে। কিন্তু ঠিকাদার সরকারি জমির পরিবর্তে রেকোর্ডিয় জমিতে ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে। তারা মাটি ফেলে আমার চাষকৃত ধান নষ্ট করেছে।
কিন্তু অপর পাশে খাস জমি থাকলেও সেখানে দখলদারদের উচ্ছেদ না করে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ইতোপূর্বে পাঁচপোতা মোড় হতে ভাতশালাগামী রাস্তা নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম দেখা দিলে স্থানীয়রা বাধা প্রদান করে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে রাস্তা নির্মান শেষ হয়। কয়েকদিনের মধ্যে ঐ রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রকৌশলী দপ্তরের নির্বাহী কর্মকর্তা সহ অন্যান্যরা। এসময় নষ্ট সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে কোন সুফল মেলেনি। আরো জানান, নির্মানকৃত সড়কের অনিয়ম নিয়ে সংঙ্কিত তারা।
এবিষয়ে ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমানের জানান, মোট ৮৩০ মিটার সড়ক নির্মান চলমান রয়েছে। আমি অসুস্থ থাকায় কর্মচারীরা কাজ করছে। রাস্তার মাঝ থেকে দুই দিকে সমান ভাবে মাটি কাটা হয়েছে। কোথাও কোন সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধান করা হবে।