আজিজুর রহমান,কেশবপুর (যশোর)
কেশবপুরে অবাদে কাটা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি, আর এই মাটি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে পাশ্ববর্তি ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থাানে।স্থানীয় মাটি কেনা-বেচা সিন্ডিকেটের সহায়তায় শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে এই মাটি নেওয়া হচ্ছে ভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়।
বাঁধাহীনভাবে কৃষি জমির মাটি কাটার ফলে একদিকে যেমন আশানারুপ ফসল উৎপান ব্যাহত হচ্ছে অন্য দিকে যন্ত্র-তন্ত্র ভাবে বে-পরোয়া গতিতে মাটিভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারনে যাতায়াতের রাস্তা বিনষ্টের পাশাপাশি সড়কে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গেছে, কেশবপুর পৌর শহরসহ উপজেলাব্যাপী প্রতিদিন শতাধিক মাটিভর্তি অবৈধ ট্রাক্টর উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর এই ট্রাক্টরের মাটি মেইন সড়কে পড়ে প্রায় প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে।
উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত ও থানা পুলিশ ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ করে ট্রাক্টরের চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্প্রতি ট্রাক্টরের ছবি তুলতে গিয়ে এক সাংবাদিককে হুমকি ও তার ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে ছিলো,্এসব ট্রাক্টরের ছবি তুলে গেলে হুমকির শিকার হতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন এই মরনযান কিশোর ও অল্প বয়স্ক ছেলেরা ড্রাইভিং করছে। তারা বেপরোয়া গতিতে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
উপজেলা ট্রাক্টর সমিতির সভাপতি মিন্টু জানান, কেশবপুরে প্রায় অর্ধ শতাধিক ট্রাক্টর রয়েছে এর মধ্যে ৩৪ টি ট্রাক্টরে মাটি, বালি ও ইট বহন করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ট্রাক্টর সড়কে চলাচল করা অবৈধ সেটা আমরা জানি কিন্তু সরকারি কাজ ও মানুষের প্রয়োজনে অহরহ ট্রাক্টর ব্যবহার করা হয়। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। চলতি বছরে গত মার্চ মাসে দুটি মাটি ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছিল।