নওয়াপাড়ায় অতিরিক্ত খাজনা আদায়: ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

0
193

স্টাফ রিপোর্টার

যশোরের অভয়নগরে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে ধান ক্রয় বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ করা না হলে অনিদৃষ্ট কালের জন্য ধান ক্রয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন নওয়াপাড়া বাজার আড়ত ব্যবসায়ী (কৃষিপণ্য) সমিতি। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের ধান হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নওয়াপাড়া পৌরসভার কর্তৃক চার লাখ ৫১ হাজার ৫৫০ টাকায় ধান হাটের ইজারা পান মেসার্স হাবিব স্টোরের মালিক মো. হাবিব মুন্সী। শনিবার দুপুরে হাবিব মুন্সীর কয়েকজন প্রতিনিধি নির্ধারনকৃত খাজনা থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেন।

এক পর্যায়ে ওইসব প্রতিনিধিরা চড়াও হয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় শুরু করলে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে নওয়াপাড়া ধান হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ধান ক্রয়ের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (আড়ত) বন্ধ রাথা রয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ধান নিয়ে আসা কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। এসময় ধান বিক্রি করতে আসা উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের কৃষক গফুর মিয়া বলেন, ‘দুপুরে ১১ মন ধান নিয়ে এসে দেখি সব আড়ত বন্ধ। বাড়তি ভাড়া দিয়ে ধান বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’ ধোপাদী গ্রামের কৃষক আজিবর রহমান বলেন, ‘ধান বিক্রি করতে এসে দেখি অচেনা কয়েক যুবক খাজনা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তারা আমার নিকট খাজনা দাবি করলে আমি তাদের বলি মোকাম বন্ধ, তাছাড়া এর আগে তো কখনও খাজনা দিতে হয়নি।

নওয়াপাড়া বাজার আড়ত ব্যবসায়ী (কৃষিপণ্য) সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল হোসেন বিশ্বাস মুঠোফোনে জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে ধান হাটের ইজারা দেওয়া হলেও কৃষকের নিকট হতে খাজনা আদায়ের ব্যাপারে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা ছিলনা। চলতি বছরে নতুন ইজারাদার বস্তা প্রতি ২৪ টাকা খাজনা দাবি করলে আড়তদাররা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। ব্যবসায়ীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে বলে তিনি জানান। মেসার্স হাবিব স্টোরের মালিক হাবিব মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লাইসেন্সটি আমার হলেও আমি কাজটি আমি করছিনা। আমার লাইসেন্সে ভাঙ্গা গেটের গোলাম এর ছেলে জিহাদ ব্যবসা করে।

বিষয়টি আমি তার সাথে কথা না বলে কিছু বলতে পারছিনা। এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া পৌরসভার সচিব এসকে মোশারফ হোসেন জানান, ধার্যকৃত খাজনা থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা যাবে না। যদি কেউ আদায় করে থাকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comment using Facebook