কেশবপুরে চাঁদার দাবিতে ১৭ লাখ টাকার মালামাল লুট: কাউন্সিলরসহ ১৫ জনের নামে মামলা

0
139

যশোর অফিস

কেশবপুরে চাঁদার দাবিতে এক ফুড কোম্পানীর ১৭ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগে এক কাউন্সিলরসহ ১৫ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল উপজেলার ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেছেন।

আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৪/৫ বছর আগে উপজেলার ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান কেশবপুর শহরের সাবদিয়া সরকারি কবর স্থানের পাশে ঘর মালিক রাজিবুল ইসলামের ৪ তলা ভবনের ১ম ও ২য় তলা ভাড়া নিয়ে জিএম কনজ্যুমার ফুড প্রডাক্ট নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন ও বিকিকিনির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩ মাস আগে থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলর জিএম কবীর হোসেনসহ ১৪/১৫ জন ব্যক্তি ওই কোম্পানীর মালিক হাফিজুর রহমানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দিলে তাকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে তারা বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ রাতে কাউন্সিলর জিএম কবীর হোসেনসহ ৭/৮ জন ব্যক্তি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ৬ দিনের মধ্যে চাঁদার টাকা না দিলে হাত, পা ভেঙে গুঁড়ো করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়ে আসে। এরপরও চাঁদার টাকা না পেয়ে গত ৩০ মার্চ রাতে কোম্পানীর মালিক হাফিজুর রহমানের কাছে তাদের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা দিতে বলে। এতে রাজি না হলে কোম্পানীর মালিক হাফিজুর রহমানকে লাথি মেরে কর্মচারীদের জিম্মি করে ৮ লাখ ১ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের ৪০০ কার্টুন তানজিম সফটড্রিংকিস পাউডার ইঞ্জিন ভ্যানযোগে নিয়ে যায়।

এছাড়া আরও ৫টি ইঞ্জিন চালিত ভ্যানযোগে ১ লাখ সাড়ে ১২ হাজার টাকা মূল্যের চিনি, সাড়ে ৩১ হাজার টাকা মূল্যের ফুয়েল, সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের চায়না প্যাকেজিং মেশিন, ২৪ হাজার ৩‘শ টাকা মূল্যের মিক্সার মেশিন ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের ১টি অ্যাপাসি ফোর ভি মটর সাইকেলসহ সর্বমোটি ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বিষযটি নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় অবশেষে বাদি আদালতে মামলাটি করেছেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো, মোত্তাসীম, সাইফুল ইসলাম, সোহাগ হোসেন, আলামিন, মাহাবুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, সাইফুল ইসলাম, হাসান, রানা, শাহীন, কাঞ্চন বেগম, জিয়াউর রহমান, আবুল হোসেন ও মুকুল হোসেন।

আদালতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ এপ্রিল পিবিআই এর উপপরিদর্শক শামীম হোসেনের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর জিএম কবীর হোসেন জানান, তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। মূলত যশোর ডিবি পুলিশের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করেছে এবং তারাই সমস্ত মামলামাল চিজসহ ২/৩ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। এতে আমার কি করার আছে।

Comment using Facebook