সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা খাতের আওতায় কোভিড-১৯ মোকবিলায় বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ করেছেন সয়ং পরিষদের সদস্যরা। স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-২ শাখার ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখের পত্র নং-৪৬.০০.০০০০.০১৮.০০১.১৭ (অংশ)-৭৯ সূত্রে সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস স্বাক্ষরিত পত্রে জানা যায় ক্রসড চেকের মাধ্যমে জেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদকে ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত এ অর্থ ব্যয় করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ও সচিবগণ ভূয়া মাষ্টার রোল দেখিয়ে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেন।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় গত ২৮ নভেম্বর ৩য় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৫ জানুয়ারি শফৎ গ্রহনের পর এই প্রথম সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা (কোভিড-১৯ মোকাবেলায়) বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা জানান ৩৫ হাজার টাকা অনুদানের ব্যাপারে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এরকম চেকের বিষয় আমি জানিনা, কে জানে জানতে চাইলে তিনি বলেন সচিব জানে, সদস্যদের না জানার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সব বিষয় সদস্যদের জানতে হবে এমনটি নয়। তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হোসেন (ছোট) এর ফোনটি বন্দ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন নাইম জানান, চেকটি পেয়েছি টাকা উত্তোলন করা হয়নি, পরিষদের সদস্যদের সাথে মিটিং করে কেনাকাটা করা হবে। চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক সদস্যদের না জানার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এর চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও বিষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ফোন না ধরায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম আব্দুল্লাহ’র ফোনটি বন্দ পাওয়া যায়। দঃ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গবিন্দ মন্ডল সদস্যদের না জানার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন বিল ভাউচার করে খরচ করা হয়েছে। রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম আলীম আল রাজী (টোকন) এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন সচিব চেকটি তুলছেন, আমি ঢাকাতে ছিলাম, বিস্তারিত জেনে আপনাকে বলব। মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়ল বলেন টাকা উত্তোলন করে মালামাল ক্রয় করে সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় সকল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ কোভিড-১৯ মোকবিলায় বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ করেছেন।