যশোর অফিস
যশোরের শার্শার এমপি আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কায়িক পরিশ্রম করছে। তাই এদের উপর কারো পোষ্য সন্ত্রাসীরা হাজারও ককটেল ফাটিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারবেনা। বরং, এরা গোলাবারুদের ন্যায় জ¦লে উঠে মেয়রের সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। রবিবার বেলা ১১টার সময় বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ছোট আঁচড়া মোড়ে বন্দর শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়বস্তু জানতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত শ্রমিক সমাবেশে সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন গত ২৮ মার্চে দিনে-দুপরে ঘটিত বন্দরের শ্রমিকদের উপর বৃষ্টির মতো ককটেল বিস্ফোরিত কাল অধ্যায়ের ঘটনা শোনেন। সেদিনের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের শারিরিক খোজ-খবর নেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। তাদের দেখভালের জন্য শ্রমিক সংগঠনের উপর কড়া হুশিয়ারি দেন। বলেন, সংগঠনের টাকায় তাদের চিকিৎসা করাতে হবে, ব্যর্থ হলে এমপি’র নিজ অর্থায়নে তাদের উন্নত চিকিৎসা করা হবে। বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫’র সাধারণ সম্পাদক ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে, সন্ত্রাসের রাজনীতি করেনা। তাই, সন্ত্রাসী দল পুষে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে আসলে দল তাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এসময় তিনি বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, ভেবেছেন নীরিহ শ্রমিকদের উপর শতশত ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে ওরা আপনাকে বাহবা দেবে। কিন্তু দেয়নি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালমা আলম, শার্শাা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন রুবেলসহ নেতা-কর্মীরা।
