আজিজুর রহমান,কেশবপুর
কেশবপুরে চাঁদার টাকা না পেয়ে দুর্বৃত্তরা এক ঘের মালিকের ঘেরের বেঁড়িবাঁধ কেটে খালের পানিতে মিশিয়ে দিয়ে ৮ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপরও ওই দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘের মালিকের ঘেরের পাড়ে বস্তায় ধরে রাখা বিভিন্ন প্রজাতির ১২/১৪ মন মাছ, সোলার প্যানেলসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে রবিবার কেশবপুর থানার এসআই গোরাচাঁদ বিশ্বাসের নের্তৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় ঘের মালিক রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে ৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১২/১৪ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামের সৈয়দ আলী ফকিরের ছেলে রবিউল ইসলাম কেশবপুরের খুকশিয়ার বিলে ১৭০ বিঘা জমি নিয়ে মাছের ঘের করে মাছ চাষ করছেন।ওই ঘের মালিকের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ,হাড়িয়াঘোপ গ্রামের সবুজ হোসেন, আড়–য়া গ্রামের মুকিত, মাহাবুরসহ ১০/১২ জন দূর্বৃত্ত।
এতে রাজি না হওয়ায় দূর্বৃত্তরা পথেঘাটে সব সময় তাকে ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকিসহ ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি অব্যাহত রাখে। এরই সূত্র ধরে গত ৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রবিউল ইসলামের মাছের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে পশ্চিম পাশের ১০/১২ হাত বেঁড়িবাধ কেটে দিয়ে ঘেরের মাছ পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে ৮ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় ঘেরের কর্মচারীরা তাদের বাঁধা দিলে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগে উখেল্ল করা হয়েছে। এরপর সন্ত্রাসীরা ঘেরের পাড়ে ১২/১৪টি বস্তায় ধরে রাখা দেড়লাখ টাকার ১০/১২ মন সাদা ও চিংড়ি মাছ, ঘেরের টঙঘরের সোলার প্যানেল, ব্যাটারী, নেট, ডিজেলসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আব্দুর রশিদ বলেন, তার কাছে চাঁদা চাওয়া তো দূরের কথা, কেউ ঘেরের ক্ষতিসাধন করেনি। সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার এসআই গোরাচাঁদ বিশ্বাস বলেন, সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।