খানজাহান আলী থানা সংবাদদাতা
খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন শিরোমণির মাদ্রাসা মারকাজুল মুসলিমিন এর হেফজ শাখার শিশু ছাত্র মেহেরান(১০)কে পাশ্ববর্তী মুন তালুকদার কর্তৃক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠলেও প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে নিরব রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করতে চাইলেও প্রশাসন বলছে এটা সাধারণ ডায়রী করা যাবে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেও বিভিন্ন মহলের হুমকি ধামকি আর গুমের ভয়ে পরিবার এবং মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরে এসেছেন বলে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খান জানায়।
এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কান্নাজড়িত কন্ঠে মাদ্রাসাটি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশহিসাবে মাছুম শিশু কোরাআনের হাফেজ হতে আসা মেহেরানের উপর হিং¯্র বাঘের মতো ঝাপিয়ে পড়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিহৃত করেন। গত ৪ এপ্রিল বেলা পৌনে ৩টায় মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ভিডিও গত ৬ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় মাদ্রাসার সামনে দুই শিশু শিক্ষার্থী ফুটবল খেলা করছিল। পাশদিয়ে হেটে যাওয়ার সময় জনৈক মুন তালুকদারের পায়ে কোনরকম বলটি লাগার সাথে সাথে হিং¯্র বাঘের মতো তেড়ে এসে মেহরান(১০) নামের এক ছাত্রকে জাপটে ধরে নির্যাতনের এক পর্যায়ে উচু করে আছাড় মারে। ছাত্রটি ভয়ে মাদ্রাসার অপর ছাত্রকে জাপটে ধরে কাপতে থাকে।
নির্যাতনকারী মুন তালুকদার শিশু ছাত্রকে ছেড়ে দিয়ে তার দুই হাত ঝেড়ে হাতের ময়লা পরিষ্কার করে চলে যেতে দেখা যায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি রিয়াজ উদ্দিন খান বলেন ঘটনা শোনার পর মেহরানের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে নির্যাতনের কথা জানতে চাইলে মুন তালুকদার অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ করে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে ৯৯৯ নম্বরে জানালে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে শুনে কোন ব্যবস্থাগ্রহণ না করে চলে যায়। পরবর্তিতে খানজাহান আলী থানায় অভিযোগ করতে গেলে বিষয়টি মামলা নয় সাধারণ ডায়রী করার জন্য বলে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। মামলা করতে ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসার পর মুন তালুকদারসহ বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি-ধামকি আসছে আমাকে আমার পরিবার এবং মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি করার। মাদ্রাসার প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী এবং আমার পরিবারের নিরপত্তায় প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াস বলেন, মামলা নয় ডায়রী করার জন্য বলে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখার কথা সঠিক নয়। মাদ্রসা বা ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।