খুলনা-মোংলা-বাগেরহাটের মহাসড়কের উপর ইটের সলিং: বাড়ছে দুর্ঘটনা

0
163

শেখ আনিছুর রহমান, বাগেরহাট

খুলনা-মোংলা, বাগেরহাট-খুলনা ও গোপালগঞ্জ-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড গোলচত্তর মোড়ের উপর পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং নির্মাণ করায় তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়তই এখানে সহ মহাসড়কের ক্ষতি গ্রস্থ স্থানে ইটের সলিং কওে মেরামত করা হয়েছে উক্ত স্থানে ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।

আর দুর্ঘটনা ঘটার কারনে স্থানীয় জনগনের মধ্যে দুর্ঘটনা আতংক বিরাজ করছে। অতিদ্রুত মোড়টিতে ইটের সলিং সরিয়ে মেরামত বা পূনঃ সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশাংখা রয়েছে।

জানা যায়, দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলাধীন কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসাবে এর সুপরিচিতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসাবে এই মোড়ের যে শোচনীয় অবস্থা তা নিজে চোখে না দেখলে অনুধাবন করা যাবে না। এই মোড়ের উপর দিয়ে দেশের দ্বীতিয় বৃহত্তর মোংলা বন্দরে যাওয়া-আসার একমাত্র রাস্তা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেই রাস্তার প্রবেশ দ্বারের এই শোচনীয় অবস্থায় স্থানীয় জনগন হতবাক হয়েছেন।

মোংলা বন্দরের সকল আমদানি-রপ্তানি জাতীয় পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে মোড়ের উপর দিয়ে। সেই হিসাবে এই মোড়ের গুরুত্ব অপরাসিম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ মোড় হওয়া সত্তেও মোড়ের তিন পার্শ্বে পিচ ঢালা রাস্তায় ইটের সলিং নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৬মাস আগে।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইটের সলিং উঠিয়ে কার্পেটিং করা হয়নি। আর না করার কারনে সকাল দুপুর সন্ধ্যা ও গভীর রাতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা ধরনের সড়ক দুর্ঘনা। স্থানীয় পরিবহন কাউন্টারম্যান ফারুক হোসেন, শামীম হোসেন ও রাজু আহম্মেদসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, মহা-সড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের তিন মোড়ের উপর গত প্রায় ৬ মাস আগে কার্পেটিং উঠে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেই সময়ে উক্ত স্থানে প্রতিনিয়ত সড়ক র্দুঘটনা ঘটেই চলছিল। যা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে সড়ক বিভাগ কার্পেটিং উঠিয়ে সেখানে চলাচলের জন্য ইটের সলিং নির্মাণ করেন। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত তিন রাস্তার মোড়ে ইটের সলিং নির্মাণ করা রয়েছে। আর ইটের সলিং নির্মাণ করার কারনে প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এছাড়াও খুলনা-মোংলা মহাসড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে শ্যামবাগাত ও শ্যামবাগাত মেট্রোবিক্স (ইটভাটা) পর্যন্ত ভেঙ্গে যাওয়া প্রায় ৫/৬টি স্থানে ইটের সলিং নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের সুব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। যা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। যানবাহন চালক আরিফ শেখ, মশিউর রহমান ও হাসান আলী সহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, পিচ ঢালা রাস্তার মাঝপথে হঠাৎ ইটের সলিং নির্মাণ করায় যানবাহন চালকরা পড়েছেন মহাবিপাকে। কারণ যানবাহন চালাতে চালাতে হঠাৎ ইটের সলিংয়ের উপর গাড়ীর চাকা উঠে গেলে ইষ্টাডিং ধরে রাখা যায় না। তখন যানবাহন চালকদেরকে র্দুঘটনার কবলে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় চালকরা সকলেই চাই ভাল জায়গা দিয়ে যেতে, আর তখন ঘটে যায় র্দুঘটনা। এর্দুঘটনা থেকে পরিত্রন পেতে হলে দ্রুত ইটের সলিং উঠিয়ে কার্পেটিং করে দেওয়ার জন্য তাঁরা সড়ক বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ আলী এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বাগেরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি আবেদন করেছি। ঐ আবেদনে কাটাখালী গোলচত্তরটি পূনঃ সংস্কার করার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা অচিরেই মেরামত করবেন বলেও তিনি আসাবাদী।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমরা খুব অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া স্থানটুকু সুন্দরভাবে কাজ করে দিব। এছাড়া মোংলার দিকে যেতে অনেক স্থানে রোড নষ্ট হয়েছে, সে গুলিও ৪/৫দিনের মধ্যে মেরামত করে দিবেন বলেও তিনি জানান।

Comment using Facebook