কপিলমুনি (খুলনা) সংবাদদাতা
প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি রোধে দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে, তবে অভিনব কায়দায় কপিলমুনিতে চলছে কোচিং সেন্টার, ব্যাচ ও টিউশন।
সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো চালু থাকায় রীতিমত আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা। তবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এবং কোচিং সেন্টারগুলোর কিছুটা চাপ শিক্ষার্থীর উপর থাকায় এ বিষয়ে কোন মন্তব্যই করতে চাইছেন না কোন কোন অভিভাবক।
নাম না বলার শর্তে প্রাভেট শিক্ষকরা বলেন, আামরা পড়াতে না চাইলেও অভিবাবকরা শুনতে চায় না। তা ছাড়া আমাদেরও পয়সার প্রয়োজনে এ পড়ানোর কাজে থাকতে ভাল লাগে। সরে জমিনে দেখা যায় যে কোচিং সেন্টারগুলোর ছোট ঘরে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের বসতে হচ্ছে।
এক ব্যাচ শেষ হলে আরেক ব্যাচ বাহিরে অপেক্ষায় থাকে। এদিকে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কোচিং সেন্টার, কিন্ডারগার্টেন ও স্কুলে চালু রাখা কোচিং প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার দাবী জানিয়েছে সচেতন অভিবাবক ও এলাকাবাসী।
কিছু কিছু কোচিং সেন্টারগুলোর প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে ভিতরে চলছে পাঠদান। অনেক শিক্ষক তাদের প্রাইভেট ব্যাচগুলোর ক্লাসের নির্ধারিত স্থান থেকে সরে এসে নিজ নিজ বাসায় ক্লাস নিচ্ছেন। কপিলমুনিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
উপজেলার হরিঢালী, আগঢ়ঘাটা, বাকা বাজার, কাশিমনগর, বাদামতলাসহ বিভিন্ন স্থানে কোচিং চলছে। পাইকগাছা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, সরকারী নিয়ম নাা মানলে ঐ সব কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে। খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, সকাল-বিকেল দু’বেলাই এলাকায় চলছে কোচিং-য়ের রমরমা ক্লাস। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের কারণে প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি রোধে সরকারি নির্দেশনা সফল হচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।’