লোহাগড়ায় কৃষকের তথ্য দিতে কৃষিবিদ রইচের গড়ি মিশি

0
188

নড়াইল সংবাদদাতা

বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এসব বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর থেকে কোন তথ্যই সাংবাদিকদের দেওয়া হয় না।

তথ্য চাইলে কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন সাংবাদিকদের তথ্য আইনে আবেদন করতে বলেন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচ উদ্দিন। গত ফেব্রুয়ারীর ১৫ তারিখে স্থানীয় সাংবাদিকরা কৃষি দপ্তরের কিছু তথ্য চাইলে রইচ উদ্দিন ছাপ জানিয়ে দেন তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। তার পরে দেখা যাবে। পরে লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকার সাংবাদিক কাজী আশরাফ ১৭ ফেব্রুয়ারী তথ্য প্রাপ্তির জন্য তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরম এ তিনটি বিষয়ে কৃষকের তথ্য চেয়ে আবেদন করেন।

কিন্তু কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন আবেদন প্রাপ্তির ৪৬ দিন পার হলেও কোন তথ্য প্রদান করেন নাই। কৃষি কর্মকর্তার এমন আচারনে তথ্যের অবাধ প্রবাহ বাধাঁগ্রস্থ হবে বলে মনে করছে সচেতন মহল। তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করনের নিমিত্তে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ কতটুকু কার্যকর হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শেখ. নজরুল ইসলাম বলেন, সমাজ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। সুই ফেলবারমত জায়গা নেই।

যেহেতু আমি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হয়েও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারিনা। এটাও দুর্নীতি। যে কর্মকর্তা তথ্য গোপন করবেন নিশ্চিত ওই কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচ উদ্দিন এর সাথে। তিনি বলেন, লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী আশরাফ কৃষকের কিছু তথ্য প্রথমে মৌখিক ভাবে পরে লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন।

কিন্তু সময়ের অভাবে দিতে পারিনি। সচেতন মহল মনে করেন থলের বিড়াল কোথায় যেন লুকিয়ে আছে। তাছাড়া এমন কর্মকা- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তথা শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।

Comment using Facebook