কেশবপুর সংবাদদাতা
কেশবপুরে গড়ভাঙ্গা বাজারে স্থানীয় শালিশী বৈঠাকে মেম্বর বুলুর নেতৃত্বে ২য় দফায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মহিলাসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
এঘটনায় স্থানীয় মেম্বরকে প্রধান আসামী করে কেশবপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের হয়েছে।
থানায় এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ-২২ পাঁজিয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র কেশবপুর উপজেলার বেলকাটি গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে রাকিব হাসানের উপর একই গ্রামের জাকির হোসেন মিন্টু কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার জের ধরে সংশ্লিষ্ট থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ হয়।
স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে গত ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের গড়ভাংগা বাজারে শালিস বৈঠাক বসায় অত্র ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত মেম্বর রফিকুল ইসলাম ওরফে বুলু। মিমাংসার এক পর্যায়ে মেম্বর বুলু মিন্টু গং এর পক্ষ অবলম্বন করলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এসময় মেম্বর বুলুর প্রকাশ্য মদদে তার পষ্য বাহিনী জাকির হোসেন মিন্টু, সোহাগ হোসেন, আতিয়ার সরদার, আশরাফ আলী, এরশাদ আলী মোড়ল, সেলিম জোয়াদ্দার, লিটন মোড়ল ও বিল্লাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ দূর্বৃত্ত হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ূ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। হামলায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের বৃদ্ধা মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়। আহরা হলো- মতিয়ার রহমান(৫০),ছেলে রাসেল(২০), আতিয়ার রহমানের ছেলে রাকিব হাসান(২০),ইব্রাহিম মোড়লের ছেলে বাবলুর রহমান (২৬) ও মৃত সোনাই মোড়লের স্ত্রী জয়গুন বিবি(৬০)।
আহতদের মধ্যে রাকিব,রাসেল ও মতিয়ারকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এঘটনায় শুক্রবার আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মেম্বর রফিকুল ইসলাম বুলুকে ১নং আসামী করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনাম আরো ১০/১২জনের নামে কেশবপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দীন জানান, গৃহীত এজাহারটি তদন্তপূর্বক রেকর্ড করা হবে।