সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সার্কিট হাউজ মোড়ে ১০টি চায়ের দোকানে সংযুক্ত হয়েছে ক্যারাম বোর্ড ও টেলিভিশন। দিন থেকে শুর করে গভীর রাত্রী পর্যন্ত চলছে জুয়ার আসর।
এ সকল চায়ের দোকানগুলো যেন ক্যারাম বোর্ড ও টেলিভিশন ছাড়া বড্ড বেমানান। যে সব দোকানে বিনোদনের বাড়তি সংযোজন নেই, সেখানে লোক সংখা তুলনা মূলক কম। দোকানে আগত ক্রেতা সাধারণের চেয়ে ক্যারাম বোর্ডের খেলোয়াড়দের সংখ্যাই বেশি।
তবে বাবলু, ইমরান, মুনসি, রশিদ, লালটু, রাজু, লুৎফার, রাঙ্গা, তহিত ও মিঠুর চায়ের দোকানের বোর্ড গুলোতে চলছে অভিনব জুয়ার আসর প্রতি গেমে বিভিন্ন চুক্তিতে খেলোয়াড়রা খেলা করছে।
এ সময় ক্যারামের নির্দিষ্ট হারে ভাড়ার বাইরে খেলোয়ারদের বাধ্যতামূলক ওই দোকানের চা-সিগারেট, পান, বিস্কুট, ভাঁজার পাশাপাশি বিভিন্ন কোমল পানী খেতে হয় গুনতে হয় গেমপ্রতি মোটা অংকের টাকা। একাধিক নিরভরশীল সূত্র জানায়, প্রতেক চায়ের দোকানে ক্যারামের নিয়মিত খেলোয়াড়দের একটি বড় অংশ জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত। অনেক সময় দোকানের অগোচরে তারা গোপণে চুক্তি ভিত্তিক খেলা করে। যাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র থেকে শুরু করে ভ্যান চালক ও শ্রমজীবি সহ নানা পেশায় সম্পৃক্ত। তারা বই-খাতা ছেড়ে ও কাজ বাদ দিয়ে এখন দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছে ক্যারামের আসরে।
অনেকে আবার ক্যারামে চান্স না পেয়ে কিংবা শুধু মাত্র সময় কাটানোর জন্য সাথে আনা এ্যান্ড্রয়েড ফোনে খেলছে নানা ধরনের গেম। যাদের কেউই আবার মানছেনা নূন্যতম সামাজিক দূরত্বটুকু। ফলে নতুন করে করোনার উর্দ্ধগতী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন বিপার্যন এ জনপদের সাধারণ মানুষ। এক কথায় নিজেদের অজান্তে আসক্ত হয়েছে ভয়াবহ জুয়ার নেশায়। সরেজমিনে দেখা যায়, দোকান খোলার সাথে সাথেই খেলোয়াররা ভীঁড় জমান চায়ের দোকানে।
সারা দিন বোর্ডে ব্যস্থ থাকায় অনেকে বাড়ি ফেরেন মধ্য রাতে। অনেকে আবার দুপুরের খাবার খেয়ে ফের হাজির হচ্ছেন চায়ের দোকানের বোর্ডের আড্ডায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, স্থানীয় পুলিশকে ম্যানেজ করে পরিচালনা করে তাছারা কিছু পুলিশ আছে ক্যারাম বোর্ডে নিয়োমত জুয়া চালিয়ে আসছে। ক্যারাম বোডের আসরে লোক সমাগমের বাড়তি সুবিধা নিয়ে কিছুকিছু দোকানে মাদকদ্রব্য বিক্রির ও অভিযোগ রয়েছে। গেম প্রতি সংশিষ্ট দোকানের শত” শত টাকার বিলের পাশাপাশি ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাজিতে হেরে আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেলোয়ারদের একটি বড় অংশ। প্রতিটি চায়ের দোকানে নাম মাত্র পুঁজি বিনিয়োগ করে বোর্ড ভাড়া ও মালামাল বিক্রি থেকে নিয়মিত ১-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। এতে দোকানদার একটি অংশ লাভবান হলেও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কিশোর-যুবক, শিক্ষার্থী ও খেঁটে খাওয়া শ্রমজীবিরা। চায়ের দোকানে অভিনব ক্যারাম নামের জুয়ার আড্ডা বন্ধে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।