মণিরামপুরে মাদকসহ দুই কিশোরকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

0
275

স্টাফ রিপোর্টার, মণিরামপুর

মণিরামপুরে মাদকসহ দুই কিশোরকে আটকের পর ফাঁড়িতে এনে উৎকোচ নিয়ে রাতে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। উপজেলার রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আশিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

আটকৃকতরা হলো কেশবপুর উপজেলার সাবদিয়া গ্রামের রেজাউল ইসরামের ছেলে আবু সাইদ রেজা (১৭) এবং একই উপজেলার ইমাননগর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে হামিম বিন হামজা (১৪)। অবশ্য পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশিকের দাবি বয়স কম হওয়ায় উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ওই দুই কিশোরকে তাদের অভিভাবকদের কাছে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার উপজেলার রাজগঞ্জ বাজার থেকে ৪টি ইঞ্জেকশন, পলিথিন মোড়ানো ও প্লাস্টিকের বোতল ভর্তি তরল পদার্থসহ দুই কিশোরকে আটক করেন রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আশিক। এর আগে ওই বাজারে অবৈধ মোটরসাইকেল ধরছিলেন ট্রাফিক পুলিশ জাহিদ ও মোজাম্মেল হোসেন।

এসময় গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ৪ কিশোরকে দাঁড় করায় ট্রাফিক পুলিশ। এসময় দুই কিশোর দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও আটক হয় আবু সাইদ রেজা (১৭) এবং হামিম বিন হামজা (১৪) নামের দুই কিশোর। এসআই আশিক দুই কিশোরকে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে নেওয়ার পর রাত ১০ টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এসআই আশিক উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বয়স কম হওয়ায় দুই কিশোরকে তাদের অভিভাবকদের কাছে দেওয়া হয়। এসময় তিনি এ প্রতিবেদককে হুশিয়ারি করে বলেন, বয়স কম বিধায় দুই কিশোরের নামে ডিজিটাল আইন মোতাবেক নিউজ করতে পারবেন না। এর আগে তিনি আটকদের পরিচয় বলতে রাজি হননি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সম্মতি ছাড়া কোনভাবেই দুই কিশোরের ব্যাপারে তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে সহকারি পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুনকে বিষয়টি জানালে তিনি তথ্য দিতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বণি ইসরাইল ও এসআই আশিককে নির্দেশ দেন। এরপর ওই দুই কিশোরের পরিচয় পাওয়া যায়।

ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ৪ কিশোরের মধ্যে দুই জন পালিয়ে গেলে বাকি দুইজনকে এসআই আশিক তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান। এসময় ওই দুই কিশোরের কাছে ৪টি ইঞ্জেকশন, কালো পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল ভর্তি তরল পদার্থ পাওয়া যায়। ওই সময় বাজারের এক ফার্মেসী মালিক তাদেরকে জানান, ইঞ্জেকশন ঘুমের জন্য ব্যবহার করা হয়। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বাণি ইসরাইল বলেন, তাদের কাছে তেমন কিছু না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সহকারি পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন বলেন, এ ব্যাপারে তাকে কিছু জানানো হয়নি। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।

Comment using Facebook