ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই বাসের সুপারভাইজার ও ইবি শিক্ষার্থীদের হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) উপজেলার শেখপাড়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে দীর্ঘ প্রায় ১৫ কি.মি যানজটের সৃষ্টি হয়।
এতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একাধিক দোকানে হামলা অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর। জানা যায়, রাত অনুমানিক সারে ৮ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ও গড়াই বাসের (১১০০৮৪) সুপারভাইজারের বাকবিতা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে বাসের কর্মচারীদেরকে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করে। তখন শেখপাড়া বাজারে কয়েকটি দোকানে বাসের সুপারভাইজাররা আশ্রয় এগিয়ে আসে। দোকানীরা আশ্রয় দিলে শিক্ষার্থী বাজারের সকলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। অতঃপর শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিদ্দিক স্টোরের সিদ্দিক জোয়ার্দার, শেখপাড়া টেলিকমের সুরুজ খাঁন, সরোয়ার জোয়ার্দার, আদম জোয়ার্দার আহত হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে আহতাবস্থায় আছে। আহত ব্যবসায়ী সিদ্দিক জোয়ার্দার, অন্যান্য দিনের মতো আমরা দোকানে বসে ব্যবসায় করছিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাসের সুপারভাইজার হাতাহাতি সম্পর্কে আমরা অজ্ঞাত ছিলাম। আমাদের দোকানের সামনে হটাৎ সংঘর্ষের ঘটনা দেখে আমি ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি ।
কিন্তু একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত অবস্থায় প্রায় বিশ থেকে ত্রিশজন অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আরও জানান, তাদের সংর্ঘষের ঘটনায় পর আমার দোকানে হামলা হয়। এতে দোকানের বিভিন্ন কসমেটিক্স সামগ্রী ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আমি আমি এই ক্ষতিপূরণ দাবী করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা সার্বিক দিক দিয়ে একটি আলোচনায় যাচ্ছি ।
আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। আশাকরি সবকিছু সমন্বয়ে একটি সমাধান হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী মেনে নেওয়া হবে।
শৈলকূপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। শেখপাড়া ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেকড় এক। এখানে আমাদের মতো সন্তানেরা পড়াশোনা করেন। দুই পক্ষের সাথে কথা বলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।