স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, ‘পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শতভাগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।
গণতন্ত্র, অসম্প্রদায়িকতা, জাতীয় চেতনা ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে সেই চেতনা দেশ থেকে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
পাকপ্রেমীরা পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদে ফিরে যায়। বঙ্গবন্ধু’র কাছে ধর্ম নয়, বাঙালিই ছিল সবার বড় পরিচয়। বঙ্গবন্ধু কাউকে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ হিসেবে ভাবতেন না।
সবাইকে বাঙালি হিসেবে ভালবাসতেন। বুধবার (২৩ মার্চ) যশোর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।’ প্রধান অতিথি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বর্তমান সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে।
হিন্দু ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতি জেলায় একটি করে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকার হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দির হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। সেখানে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।
হিন্দু ধর্মের মানুষের বিভিন্ন ধরণের পূজা, ধর্ম পালন, বিবাহ, সৎকার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন উৎসব করতে পারবে। ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি অডিটোরিয়াম হচ্ছে। হিন্দুদের পক্ষে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন সরকার কখনো কাজ করেনি। তাই আগামী নির্বাচনে হিন্দু ধর্মের সকল স্তরের জনগণকে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।
দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই।’ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি শ্যামল সরকার, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য অশোক রঞ্জণ কাপুড়িয়া ও যশোর জেলা শাখা সাবেক সভাপতি অসীম কুন্ডু। অনুষ্ঠানের আহবায়ক অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষের সঞ্চলনায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব শ্রাবণী সুর।