ওবায়দুর রহমান, লোহাগড়া (নড়াইল)
নড়াইলের লোহাগড়া দিঘলিয়া ইউনিয়নে লুটিয়া গ্রামে রেজিষ্ট্রেশনবিহীন লক্ষীরভান্ডার নামে সমিতি খুলে এলাকাবাসিকে বোকা বানিয়ে নড়াইল-২ আসনের এমপি মাসরফি বিন মর্তুজাকে বন্ধু পরিচয় দিয়ে বসতঘর ও ডিপটিউবয়েল দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয় ভুক্তভোগী মল্লিকপুর গ্রামের আজিজুর রহমান খানের ছেলে হালিম খান গত ১৫ মার্চ ২০২২ তারিকে দালাল চক্রের প্রধান স¤্রাট ও তার সহযোগীদের ৫ জনের নামে নড়াইল কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় যে, লোহাগড়া উপজেলার লুটিয়া গ্রামের মনিকান্ত ঘোষের ছেলে স¤্রাট ঘোষ, বাগান ঘাষের ছেলে বাবুল ঘোষ, নারায়ন ঘোষের ছেলে সুমন ঘোষ, মনি কান্তর ছেলে মৃতুন ও কৃষ্ট ঘোষের ছেলে অলোক ঘোষ, এই ৫ জন মিলে এলাকার নিরীহ মানুষকে ভুয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের কাজ নিজের নামে হস্তান্তর কাগজে ডান পাশে কৌশিক মর্তুজা এন্টার প্রাইজ ও বাম পাশে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সিল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। লুটিয়া গ্রামে এই লক্ষীভান্ডার সমিতি’ খুলে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ এর কার্যক্রম চালায়। ওই সমিতি এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বসতঘর, গভীর নলকুপ ও অগভীর নলকুপের লোভ দেখিয়ে মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য দু-চারটি নলকুপ দিলেও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে নলকুপ, বসতঘর না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হারিয়ে গেছে এখন কারোর ফোন ধরছেনা। তার নলকুপের পাইব বহন কারি নসিমন ড্রাইভার হালিম এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে নরমাল নলকুপ গভীর নলকুপ বসত ঘর ও ডিসি অফিসে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এনে সমিতির সভাপতি স¤্রাট ঘোষের কাছে জমা দেয়। টাকা নেওয়ার পর সভাপতি স¤্রাট গ্রাহকের নলকুপ বসতঘর ও চাকরি না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই ২১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে স¤্রাট ঘোষ নড়াইল শাখার সোনালি ব্যাংকের জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত দুই কোটি বাষাট্টি লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক দেখিয়ে স¤্রাটের নিজের নামের জি, এল, বি ব্যাংক নড়াইল শাখার ২১ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন হালিমকে। টাকা তুলতে গেলে দেখে একাউন্টে কোন টাকা নাই। ভুক্তভোগী হালিম উপায় অন্ত না পেয়ে আদালতের স্মনাপন্ন হন। সমিতির রেজিষ্ট্রেশন ও টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানার জন্য সভাপতি স¤্রাট ঘোষকে ফোন দিলে তার ফোন বন্দ পাওয়া যায়, লোহাগড়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শামীম রেজার কাছে লক্ষীরভান্ডার নামে কোন সমিতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন লক্ষীরভান্ডার নামে কোন সমিতি লোহাগড়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত হয়নি এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নয়।
এ বিষয় নড়াইলের জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমার জানা নেই, তবে তদন্ত করে সত্যতা পেলে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।