যশোর বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

0
195

বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর

অফিসের কম্পিউটার যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলাটি দায়ের করেন।

সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আসামিরা হলেন- যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হােসেন, সহকারী সচিব-কমন সার্ভিস জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুর ইসলাম, নিরাপত্তা অফিসার মনির হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন, ক্রীড়া অফিসার আ ফ ম আসাফুদৌলা, অডিট অফিসার আব্দুস সালাম, হিসাব অফিসার মিজানুর রহমান ও মোছা. জাহানারা খাতুন এবং সিস্টেম অ্যানালিস্ট শরিফ সালমা কহিনুর। এরা সবাই ক্রয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তিন অর্থ বছরে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার ক্রয় বাবদ বাজার মূল্যের অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা ব্যয় করে। দুদকের অনুসন্ধানে যা সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনার বিবরণে আরও জানা যায়, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার ক্রয় বাবদ মোট ৩ কোটি ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৬ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বাজারমূল্য যাচাই করে ১ কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রমাণ মিলেছে। মামলাটির তদন্তকালে অপরাধের সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে দুদক যশোরের উপপরিচালক আল আমিন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রথম চেক জালিয়াতি ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা। ১৮ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল এ বিষয়ে বোর্ডচেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় যা ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজাকে ওএসসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Comment using Facebook